বগুড়ার মোকামতলা রোডমার্চ শেষে ফেরার পথে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বহরের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

সোমবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ৮টায় বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে গণসংহতি আন্দোলনরে প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়দে সাকি বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে ফেরার পথে হামলা করা হয়েছে। হামলায় ওসমান গণি, আইয়ুব আলী, মনসুর রহমান, পাভেলসহ অন্তত ছয়জন আহত হন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

শিবগঞ্জ উপজেলা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম শহিদ অভিযোগ করে বলেন, সোমবার (৫ জুন) বিকেল ৫টার দিকে বগুড়ার শিবগঞ্জ মোকামতলা জয়পুরহাট রাস্তার মোড়ে সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে জনসভার আয়োজন করা হয়। শান্তিপূর্ণ জনসভা শেষে থানা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা রোডমার্চে অংশ নিতে ঢাকা থেকে আশা নেতাদের গাড়িবহরে হামলা চালায়। এ সময় দুটি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে তারা।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে শিবগঞ্জ উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও মোকামতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান হাবিব সবুজ বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চের গাড়িবহরের হামলার ঘটনা সঠিক নয় বরং তারাই কথিত জনসমাবেশের নামে দেশবিরোধী সব কথা বলেছে। এটা শুনে স্থানীয় কিছু মানুষ তাদের দিকে তেড়ে গিয়েছিল।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম জানান, শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ শেষ হয়েছে। তাদের বাধা দেওয়া বা হামলার ঘটনা জানা নেই। এখনো এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।

এর আগে শিবগঞ্জের মোকামতলা জয়পুর রাস্তার মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা-দিনাজপুর রোডমার্চের অংশ হিসেবে এ জনসভার আয়োজন করা হয়। সভায় শিবগঞ্জ উপজেলা নাগরিক ঐক্যের সদস্য সচিব আবদুল বাছেদের সঞ্চালনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্য সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। এ ছাড়াও জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।

নাগরিক ঐক্য সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে উন্নয়নের নামে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে। তারা মানুষ গুম আর খুন করছে। আমেরিকা আগেই দেশের সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচারের কারণে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এখন সরকারের ওপর সেই হুমকি এসেছে। আমাদের লড়াই গণতন্ত্রের জন্য। আওয়ামী লীগ সরকার কখনো স্বচ্ছ ভোট দিতে চায় না।