নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ০৬ জুন, ২০২৩

নবীগঞ্জে ভুট্টা চাষে সফল তরুণ উদ্যোক্তা জামশেদ

ছবি- প্রতিদিনের সংবাদ

নবীগঞ্জে বছরের প্রায় অধিকাংশ সময় অনাবাদি পড়ে থাকে ফসলি জমি। কৃষি অফিসের কর্মকর্তার পরামর্শে অনাবাদি জমিতে ভুট্টা চাষ করে সফলতা পাওয়ায় অনেকেই হয়েছেন স্বাবলম্বী। কম খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় ভুট্টা চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন নবীগঞ্জের কৃষকেরা। নবীগঞ্জ পৌর এলাকার চরগাঁও গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা জামশেদ চৌধুরী ভুট্টা চাষ করে ব্যাপক সফলতা লাভ করেন।

নবীগঞ্জ পৌর এলাকার চরগাঁও গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা জামশেদ চৌধুরী বলেন, প্রথমবারের মতো ৭ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি, স্বল্প খরচে বেশি লাভজনক হওয়া ভুট্টা চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। সরকারিভাবে সব ধরণের সহায়তা পাওয়ায় আগামী মৌসুমে বড় পরিসরে ভুট্টা চাষ করতে চাই। আমার একটি ডেইরী খামার রয়েছে এখানে ৩০ থেকে ৩৫টি বিদেশি প্রজাতির গরু রয়েছে। ভুট্টার গাছ, কান্ড, পাতা গরুর খাবারে জন্য খুব উপকারী এবং ঘাসের বাড়তি চাহিদা মেটায়। তাই অনেক গরুর খামারি এই ভুট্টা চাষের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

তরুণ শিক্ষিত যুবক জামশেদ চৌধুরী আরো বলেন, ভুট্টা চাষ করতে গিয়ে আমার খরচ হয়েছে ১০-১২ হাজার টাকা, কৃষি অফিসের পরামর্শে আমার বাম্পার ফলন হয়েছে, আমি প্রতি বিঘায় ২৮-৩০ মন করে ফলন পেয়েছি।

কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চাষ হয়েছে ভুট্টা। গত কয়েক বছর ধরে অনাবাদি ক্ষেতে ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে কয়েকগুণ। এ বছর হবিগঞ্জ জেলায় আবাদ হয়েছে ৬৫২ হেক্টর। এর মধ্যে নবীগঞ্জ উপজেলায় ১৩০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। ভুট্টা চাষে প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় ১০-১২ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে ভুট্টা আবাদ হয় ৩০-৩৫ মণ। বাজারে প্রতি মণ ভুট্টা বিক্রি হচ্ছে ১২শ টাকা দরে। এছাড়া ভুট্টার গাছ জ্বালানি ও গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবেও বিক্রি করা যায়।কম খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় অনাবাদি জমিতে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে হবিগঞ্জের কৃষকদের।নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মাকসুদুল আলম বলেন, অনাবাদী জমিতে ভুট্টা চাষ করার জন্য আমরা কৃষকদের বিভিন্ন সময় পরামর্শ দিয়ে আসছি। খরচ ও কষ্ট কম হওয়ায় ভুট্টা চাষ দিন-দিন বাড়ছে।

তিনি বলেন, বিদেশ থেকে ভুট্টা আমদানি করার ফলে দেশের অর্থ বাহিরে চলে যাচ্ছে, কৃষকরা ভুট্টা উৎপাদন বৃদ্ধি করলে ভুট্টা মানুষের খাদ্যের পাশাপাশি ভুট্টার গাছ জ্বালানি ও গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ফলে আমদানি ব্যয় কমবে এবং কৃষকরা নিজেরাও সাবলম্বী হবেন। বর্তমান সরকার কৃষিখাতে ব্যাপক ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের ফসলি জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফসল চাষ করার জন্য সরকারি অনুদানে বীজ, সার কৃষি কাজে ব্যবহৃত সকল প্রকার যন্ত্রপাতি ফ্রী এবং ভর্তুকি দেওয়ার কারণে কৃষকও স্থানীয় লোকজন কৃষি কাজে নিজেদের নিয়োজিত করে দেশের খাদ্যর চাহিদার প্রয়োজন মেটাতে ভূমিকা রাখছেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নবীগঞ্জ,ফসলি জমি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close