লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলো জিনের বাদশা
নিজেদের জিনের বাদশা হিসেবে পরিচয়ে জিন তাড়ানোর কথা বলে ভুয়া কবিরাজ সেজেঁ পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে লালমনিরহাটে দুইজন প্রতারককে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সন্ধ্যায় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসশাদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দুপুরে সদর উপজেলার ঢাকনাই এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশের হাতে আটক জিনের বাদশা খ্যাত প্রতারক খায়রুজ্জামান সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ কালমাটি আনন্দ বাজারে সামসুল হাকের ছেলে। অপর প্রতারক এলমান হোসেন একই এলাকার এরশাদ হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, হারাটী গ্রামের সামিউল ইসলামের মেয়েকে জীন আচড় করে বলে রোল উঠে। সামিউলের মেয়ের ওপর আচর করা জিনকে তাড়ানোর কথা বলে দুই প্রতারক কৌশলে প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে আরো ৩ লাখ টাকা দাবি করলে ভুয়া কবিরাজী সন্দেহ হয় সামিউলের। পরে বিষয়টি নিয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় জানালে পুলিশ দুই প্রতারককে আটক করে।
প্রতারণার শিকার সামিউল ইসলাম জানান, তার মেয়ে অসুস্থ। অনেক চিকিসা করিয়েও সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়ায় কবিরাজি পরামর্শ নিয়েছেন তিনি। প্রতারকরা তার আবেককে কাজে লাগিয়ে বিভিন্নভাবে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছে। ফের তিন লাখ টাকা দাবি করেছে। মেয়ের অবস্থা পরিবর্তন না হওয়া এবং আশপাশের সচেতনদের পরামর্শে এবং বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়ে ভুয়া কবিরাজ বলে সন্দেহ হওয়ায় থানায় যোগাযোগ ও অভিযোগ করেন তিনি। পরে দুই প্রতারককে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, আটক প্রতারকরা কৌশলে বিভিন্ন মানুষের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছে। ঢাকনাই এলাকার সামিউল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাড়ী থেকে প্রতারণা করার সরঞ্জামসহ ওই দুই প্রতারকদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
পিডিএস/এএমকে