বেনাপোল প্রতিনিধি

  ০২ জুন, ২০২৩

বেনাপোলে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে টাস্কফোর্সের অভিযান

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ।

বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচলকারী ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে যাত্রীসেবা ও চোরাচালান রোধে গঠিত টাস্কফোর্স এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরে ভারতের কোলকাতা থেকে ছেড়ে আসা ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি বেনাপোল রেল স্টেশনে এসে পৌছালে টাস্কফোর্স এর সদস্যরা অভিযান চালায়।

সপ্তাহের প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার ট্রেনটি কলকাতা থেকে ছেড়ে আসে। আবার বিকালে খুলনা থেকে কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে ট্রেনটিতে অবৈধ মালামাল পারাপার, চোরাচালানী রোধ এবং প্রশাসনের কড়া নজরদারীর আওতায় আনার জন্য এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্রেনটি এখন চোরাচালানীদের দখলে। চোরাচালানীদের দাপটে সাধারণ যাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তা ছাড়া বেনাপোল রেলস্টেশনে বহিরাগতদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। ট্রেনটি স্টেশনে থামার সঙ্গে সঙ্গে চোরাচালানীদের আনা মালামাল নিয়ে চোখের পলকে এরা পালিয়ে যায়। এরা ট্রেনে আসা চোরাচালানীদের নিজস্ব লোক।

এর আগে গত সপ্তাহে ভারতের পেট্রাপোলে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি থামিয়ে বিএসএফ সদস্যরা পর প্রশিক্ষিত কুকুর এবং ডগ হ্যান্ডলারদের সঙ্গে নিয়ে ট্রেনে চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে ৬৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ প্রসাধনী, ওষুধ, তামাক, মদ, গাঁজা, আতশবাজি, কাপডসহ গৃহস্থালি সামগ্রী আটক করে। সেগুলি ওই ট্রেনে করে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ বিএসএফের।

বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন ঘিরে বহিরাগতদের দৌরাত্ম ঠেকাতে শার্শা উপজেলা প্রশাসনের নির্ধারিত রুটিন মোতাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্বাবধানে কাস্টম, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, রেল পুলিশ, আনসার বাহিনীসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে টাস্কফোর্স পরিচালনা করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নারায়ন চন্দ্র পাল। অভিযানে সময় কয়েকজন আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা জেল জরিমানা ও অবৈধ মালামাল আটক করা হয়।

এ সময় খুলনা তেরখাদা পানতিতা এলাকার মৃত ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৭) কে ১৫ দিন জেল এবং বেনাপোলের ছোট আঁচড়া গ্রামের সমছের মোড়লের মেয়ে রেক্সনা (২৭) কে এক হাজার জরিমানাসহ ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার অবৈধ মালমাল জব্দ করা হয়।

টাস্কফোর্সের অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম, বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়াসহ বিজিবি, পুলিশ, রেল পুলিশ, আনসার সদস্যসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল জানান, আমরা এর আগে অভিযোন চালিয়ে কয়েক লাখ টাকার মালামাল আটক করেছি। যাত্রী সেবা ফিরিয়ে আনতে, চোরাচালান রোধে ও রেলস্টেশনে বহিরাগত প্রবেশ বন্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পিডিএস/এএমকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
টাস্কফোর্সের অভিযান,‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেন,বেনাপোল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close