সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে এক তরুণীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে আটকের পর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মজনু মিয়াকে উত্তেজিত জনতা ধোলাই দিয়েছে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে আনসার সদস্যদের পাঠিয়ে পিআইওকে উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

তবে ঘটনার দুদিন পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ মে) রাতে উপজেলা সদরের খাসকাউলিয়া ইউনিয়ন থেকে তাকে আটক করা হয়। আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়ার সুযোগে তিনি ওই দরিদ্র পরিবারের তরুণীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের সুযোগ নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, উপজেলা সদরের খাসকাউলিয়া ইউনিয়নের একটি আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর পেতে এক দরিদ্র পরিবারকে সহায়তা করেছেন পিআইও মজুন মিয়া। এর পর থেকে ওই পরিবারের সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে। প্রায়ই গভীর রাতে ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারের ১৭ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে আড্ডা দিতেন তিনি। এ নিয়ে এলাকায় জনমনে সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় জনতা পিআইও মজনু মিয়াকে ওই তরুণীর সঙ্গে ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে বেঁধে রেখে মারধর করে। পরে উপজেলা প্রশাসনে সংবাদ দেওয়া হলে আনসার সদস্য পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করেন ইউএনও।

জানতে চাইলে খাসকাউলিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম গণি মোল্লা বলেন, ‘পিআইও মজনু মিয়া প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এর আগেও বেশ কয়েকজন নারীর সম্ভ্রমহানি করেছেন। এবার ধরা পড়েছেন। ইউএনও তাকে ছাড়িয়ে এনেছেন। ঘটনার দুই দিন পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা অভিযুক্ত পিআইওর শাস্তি চাই।’

এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তথ্যের জন্য লিখিতভাবে আবেদন করার পরামর্শ দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন চৌহালী উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।

অভিযুক্ত চৌহালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মজনু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোনে কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকালে বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে কেউ অবগত করেনি।’

পিডিএস/এএমকে