চাঁদপুর প্রতিনিধি

  ০১ জুন, ২০২৩

পদ্মা-মেঘনায় ৫০টি বাল্কহেড জব্দ, আটক শতাধিক

ছবি- প্রতিদিনের সংবাদ

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এখলাসপুর এলাকায় পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু বহন করা ৫০টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া এসব নৌযানে থাকা শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত নৌ-পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের ৫টি দল পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে এসব বাল্কহেড জব্দ করে। নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জেল হোসেনের নেতৃত্বে এসব অভিযান চালানো হয় বলে জানা গেছে।

চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার (নৌ-এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, চলতি বছরের ৫ মাসে ১৫৫টি বাল্কহেড জব্দ করে মামলা দিয়েছি। তারই ধারবাহিকতায় আজকের (বৃহস্পতিবার) বড় ধরনের অভিযান। জব্দকৃত বাল্কহেড ও আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমভি ওয়াটার হেন-৫ এর সুকানি ফরিদ হোসেন জানান, তারা মাওয়া থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে উত্তোলন করা বালু ভর্তি করে ঢাকায় নিয়ে যান। তাদের কাজ হচ্ছে বহন করা। প্রতি রাতে ভালুবাহী কমপক্ষে ২০০ বাল্কহেড ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। তার বাল্কহেডের কাগজপত্র আছে। কিন্তু বালু বহনের জন্য কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই।

বাল্কডেহ থেকে আটক হওয়া একাধিক শ্রমিক জানান, তারা শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। বালু বহনের বৈধতার বিষয়ে মালিকদের সঙ্গে চুক্তি হয়। ড্রেজারগুলো বন্ধ করে দিলে তাদের বহনের কাজও বন্ধ হয়ে যাবে।

দুপুরে এখলাছপুর এলাকায় জব্দ বাল্কডেহগুলোতে থাকা লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন ও কাগজপত্র দেখেন চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ-এসপি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। এ সময় চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান, মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

নৌ-এসপি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, নৌ-পথ নিরাপদ রাখার জন্যই আমরা কাজ করি। আমাদের টহল বাহিনীর মাধ্যমে জানতে পারলাম, বেশ কিছুদিন ধরে কিছু দুর্বৃত্ত পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে নিয়ে যাচ্ছে। যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয় আসছিলাম।

অভিযোন সম্পর্কে নৌ-এসপি কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের অভিযান ছিল ত্রি-মাত্রিক। অর্থাৎ রাতের আঁধারে আমরা বালু কাটতে দেই না। তারপরেও চুরি করে যারা কাটে, তারা যেন পরিবহন করে নিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য আমাদের চেকপোস্ট ছিল পদ্মা ও মেঘন নদীর মোহনায়। নিবন্ধন ছাড়া বাল্কহেড জব্দ করা হয়। আমাদের জব্দ করা ৫০টি বাল্কহেড প্রত্যেকটি পদ্মার কোনো না-কোনো স্থান থেকে উত্তোলন করা বালু বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল। পদ্মা নদীর মাওয়া, লৌহজং, কাঠালবাড়ী এলাকায় যারা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে তাদের কোনো বৈধতা কিংবা কাগজপত্র নেই।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চাঁদপুর,মতলব
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close