গোলাম রসুল, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)

  ২৮ মে, ২০২৩

মৌ চাষে ভাগ্যবদল

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মধু আহরণ করে ভাগ্যবাদল করেছেন উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের হাজারিপাড়া গ্রামের আবদুল মমিন ও পাশের ইউনিয়নের সিংহরিয়া গ্রামের মো. ফারুক হোসেন। সাত বছর আগে ঢাকার মুগদাপাড়া ও টাঙ্গাইলের মধুপুর থেকে ১৪ হাজার টাকার বিনিময়ে চারটি মৌবক্স আনা হয়। পরে প্রাথমিকপর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে তারা গড়ে তোলেন খামার। ধীরে ধীরে ব্যবসা লাভজনক হলে বৃহৎ আকারে নেমে পড়েন মধু চাষে।

খামারের মধু বিক্রির টাকা দিয়ে আবদুল তার ছেলেমেয়েদের করেছেন উচ্চশিক্ষিত। আর ফারুক হোসেন হয়েছেন স্বাবলম্বী। বর্তমানে তারা তাদের নিজস্ব খামার থেকে মাসে আয় করেন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। তাদের খামার থেকে মধু কেনার জন্য দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসেন।

জানা গেছে, সামান্য পুঁজি নিয়ে প্রথমে মধু চাষ শুরু করেন তারা। এফিক্সসিরানা, এফিক্সডরাসটা, এফিক্স ক্ষুধে মাছি ও এফিক্স মেলিরিয়াসহ একাধিক জাতের মৌমাছি বিভিন্ন এলাকার লিচু, ধনে, সরিষা ও কালিজিরাগাছে ফুলে পরাগায়ণ ঘটিয়ে মধু নিয়ে আসে মৌবক্সে। পরে বক্স থেকে এ মধু ছাঁকনির মাধ্যমে বিশুদ্ধ করে তারা বিভিন্ন এলাকায় বাজারজাত করেন। বাড়ির পাশে উঁচু ভিটায় আড়াআড়িভাবে বসানো বক্সগুলোতে মধু উৎপাদিত হয়। ১৫ থেকে ২০ দিনের মাথায় বক্সগুলো থেকে প্লেট বের করে মধু সংগ্রহ করা হয়। বর্ষা মৌসুমেও চাষি আবদুল মমিন ও ফারুক হোসেনের খামারে প্রচুর পরিমাণে মধু পাওয়া যায়।

হাজারিপাড়া গ্রামের মৌচাষি আবদুল মমিন বলেন, মধু বিক্রি করে আমার ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষিত করেছি। সরকারের কাছে আমার আবেদন, এ পেশাকে টিকিয়ে রাখতে হলে প্রয়োজন আর্থিক প্রণোদনা। আমি একাধিকবার উপজেলা ও জেলাপর্যায়ে কৃষি পুরস্কার অর্জন করেছি।

অন্যচাষি ফারুক হোসেন বলেন, সরকার আমাদের কোনো খোঁজখবরও রাখে না। তাদের আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া ভবিষ্যতে এ ব্যবসাকে টেকানো অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন, মৌচাষ পেশা বাণিজ্যিক আকারে কীভাবে টিকিয়ে রাখায় যায় সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখব। সরকারের পক্ষ থেকে চাষি আবদুল মমিনকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। তদারকির জন্য আমি কৃষি কর্মকর্তাকে বলব।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মৌ চাষে ভাগ্যবদল,কুমিল্লা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close