সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
সোনাতলায় কলেজ ভাঙচুর করে তালা লাগানোর অভিযোগ

বগুড়ার সোনাতলায় মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজে ভাঙচুর করে তালা লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শাহজাহান সাজু।
একই ঘটনায় সোনাতলা থানাতেও তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। মো. শাহজাহান সাজুর অভিযোগ, ‘তিনি সোনাতলা উপজেলার পৌর এলাকাধীন কামারপাড়া গ্রামে তার নিজের জমিতে মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনাকালে বগুড়া জেলা পরিষদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ শিক্ষা ট্রাস্টের সেক্রেটারি আবুল হাসান মো. আশরাফুদ্দৌলা রুবেলের নেতৃত্বে বিবাদীরাসহ কয়েকজন ‘মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ শিক্ষা ট্রাস্ট’ গঠন করে প্রতিষ্ঠানটির নামে ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ করেন।
একপর্যায়ে তারা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মো. শাহজাহান সাজুকে প্রতিষ্ঠান হতে বিতাড়িত করার জন্য হয়রানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিতে থাকে।
গত ২৪ মে সকাল ১০টার সময় উপজেলার রানীরপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম, আগুনিয়াতাইড় গ্রামের মো. দৌলতজামানের ছেলে মো. কামরুজ্জামান, গাবতলী উপজেলার শাহজালাল ওরফে মানিক এবং গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার বড় জামালপুর গ্রামের মো. আহম্মদ আলীর ছেলে, বগুড়া জেলা পরিষদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ শিক্ষা ট্রাস্টের সেক্রেটারি আবুল হাসান মো. আশরাফুদ্দৌলা রুবেল আরো কয়েকজনকে নিয়ে তার বাড়িতে হামলা করে। পরে তারা মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ, সোনাতলায় গিয়ে অফিস কক্ষ, সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে। তারা অফিস ও শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে সেখানে তাদের আনা তালা লাগায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাঈদা পারভীনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ‘এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শাহজাহান সাজু। বিষয়টি তদন্তের জন্য আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে ইতোমধ্যে দায়িত্বও দিয়েছি।’
সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈকত হাসান জানিয়েছেন, ‘ভাঙচুরের ঘটনায় সোনাতলা থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বগুড়া জেলা পরিষদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ শিক্ষা ট্রাস্টের সেক্রেটারি আবুল হাসান মো. আশরাফুদ্দৌলা রুবেলের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, ‘আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা। ভাঙচুরের যে ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই সময় আমি অন্যত্র ছিলাম।’
পিডিএস/এএমকে