তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

  ০২ এপ্রিল, ২০২৩

তানোরে অবৈধ মটরে ফের বিদ্যুৎ সংযোগ

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ।

রাজশাহীর তানোরে উপজেলা সেচ কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময়ে গভীর নলকুপের কমান্ড এরিয়ায় ৪ হর্স পাওয়ারের অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেবার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আব্দুল বারিক নামে এক ভুক্তভোগী উপজেলা সেচ কমিটি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম-এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ ওই অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ না দিতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা গোপনে সেই বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম ও ইন্সপেক্টর বড় অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়ে নীতিমালা লঙ্ঘন করে অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) ৮২ নম্বর প্রাণপুর মৌজার প্রাণপুর মাঠে এই ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তানোরের প্রাণপুর মাঠে আব্দুল বারিকের গভীর নলকূপ স্কীমের মাঝে সেচ কমিটির অনুমোদন ব্যতিত অবৈধভাবে মটর স্থাপন করা হয়েছে। প্রাণপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম মুকুল অবৈধ মটর স্থাপন করে তার স্ত্রী শামসুন্নাহার বেগমের নামে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন। তানোর পল্লী বিদ্যুতের কতিপয় কর্মকর্তা অবৈধ সুবিধা নিয়ে মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন বলে আলোচনা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, বিগত ২০১৪ সালে কৃষি মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করেন। পরিপত্রে বলা হয় বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির সংকট মোকাবিলায় সেচ মোটর স্থাপন নিরুৎসাহিত (বন্ধ) করে তা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা সেচ কমিটিকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়। অথচ সেই নির্দেশনা লঙ্ঘন করে অবৈধ সেচ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে উপজেলা সেচ কমিটির এক সদস্য বলেন, যেখানে মটর বসানোর সুযোগ নাই, সেখানে অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয় কীভাবে? আবার সেই মটরে সেচ বাণিজ্য হয় কীভাবে?

এবিষয়ে আমিনুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুতের পরামর্শে তারা মটর স্থাপন ও বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘সংযোগ নিতে ইতোমধ্যে ধাপে ধাপে তার প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়েছে।’

এবিষয়ে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মাহাফুজুর রহমান বলেন, ‘গভীর নলকূপের কমান্ড এরিয়ায় সেচ মটর স্থাপনের কোনো সুযোগ নাই, বিদ্যুৎ সংযোগের তো প্রশ্নই উঠেনা।’

তিনি বলেন, ‘অবৈধ মটরগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পল্লী বিদ্যুৎকে বলা হয়েছে, তবে তারা আমাদের কথার গুরুত্ব দিচ্ছেন না বরং সংযোগ দেয়া অব্যাহত রয়েছে।’

এবিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ তানোরের ডিজিএম জহুরুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তাদের মনে হয়েছে সংযোগ দেয়া প্রয়োজন, তাই দিয়েছেন। এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে।’

তানোর পল্লী বিদ্যুতের ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া যায় না। ডিজিএম স্যারের নির্দেশে সংযোগ দেয়া হয়েছে।’

পিডিএস/এএমকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বিদ্যুৎ সংযোগ,অবৈধ মটর,তানোর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close