জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ০১ এপ্রিল, ২০২৩

কুশিয়ারার বুক জুড়ে চর, নদী খননের দাবি 

পাহাড়ি ঢলে পলি জমে কুশিয়ারায় তৈরি হয়েছে চর। সুনামগঞ্জে জগন্নাথপুর এলাকা থেকে তোলা। ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

কুশিয়ারা নদী খনন না হওয়ায় বন্যায় দুর্ভোগে পড়ছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি পাইলগাঁও, রানীগঞ্জ, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের লাখো মানুষ। এদিকে কয়েক বছর আগে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পর হাওরে নদীর পানি প্রবেশ করতে না পেরে ভাঙন দেখা দিয়েছে তীরবর্তী এলাকায়।

এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য কুশিয়ারা খননের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত নদী খনন করে মাটি বন্যাক্রান্ত নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়িতে ভরাট করলে স্থায়ী সমাধান মিলবে বলে মনে করছেন জনপ্রতিনিধিরা।

শেরপুর থেকে ভৈবর যাতায়াতের একমাত্র চলাচলের রাস্তা ছিল এই কুশিয়ারা নদী। এর পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে মানুষ বসতি। সে সময় নদী নির্ভর জীবন-জীবিকা ছিল স্থানীয়দের। তবে সড়ক পথ তৈরি হওয়ায় কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে নদী পথের জৌলুস। এখন সেই নদী বেঁচে আছে মৃত অবস্থায়। শ্রোত নেই আগের মত।

প্রায় কয়েক বছর ধরে সুনামগঞ্জের হাওর রক্ষার জন্য স্থায়ীভাবে বাঁধ নিমার্ণ করা হয়। বাঁধ নির্মাণের পর হাওরে নদীর পানি প্রবেশ না হওয়ায় পাড়ের বসতিতে আঘাত হানে কুশিয়ারা। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হন মৌলভীবাজার জেলার, সুনামগঞ্জ জেলার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রায় লক্ষাধীক মানুষ।

নদী পাড়ের মানুষসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের সাথে পলি মাটি এসে কুশিয়ারা নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে নদীর নাব্যতা হারিয়ে অসংখ্য ডুবচর সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে হেমন্ত মৌসুমে নদীর পানি কমে গেলে নদীর ডুবচরে নৌযান ও ফেরি আটকে যায়। এতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয় ভূক্তভোগীদের। যে কারণে ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীর ডুবচর চিহিৃত করে অপসারণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে। দ্রুত নদী খনন করে মাটি বন্যাক্রান্ত নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়িতে ভরাট করলে স্থায়ী একটি সমাধান আসবে বলে মনে করছেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদীর পাশের খাল-বিল বন্ধ থাকায় শ্রোত কমে গিয়ে পানি বসত বাড়িতে উঠে। নদী খনন করে নিম্নাঞ্চলের মানুষের বসতভিটায় মাটি পৌঁছে দেওয়া হলে বন্যার্ত মানুষ উপকৃত হবে। এটা থেকে বন্যার্তদের রক্ষা পেতে হলে নদী খনন করে পানি উন্নয়নের একোয়ারের নালাগুলো যদি ভরাট করা হয়, তবে মানুষ কুশিয়ারার থাবা থেকে রক্ষা পাবে, এর ফলে পাউবো’র বাঁধ নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে মুক্তি পাবে।

সুনামগঞ্জ জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন, ‘নদী খননের বিষয়ে আমাদের একটি প্রতিবেদন চলছে। কুশিয়ারা নদীর খনন আমাদের প্রতিবেদনে আসে কি না, এখন আমি বলতে পারছি না। কুশিয়ারার বিষয়ে আমাদের আরেক কর্মকর্তা আছেন তার সাথে যোগাযোগ করে বলতে পারব।’

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুশিয়ারা,চর,নদী খনন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close