কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :

  ৩১ মার্চ, ২০২৩

কমলগঞ্জে পাখিসহ শিকারী আটক

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থেকে জবাই করা ১০ মুনিয়া পাখি, ১টি বুলবুলি ও জীবিত ১১ মুনিয়া পাখি এবং পাখি শিকারের সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী বিভাগ। শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগানের বাঘাছড়া এলাকা থেকে পাখি শিকারীর কাছ থেকে এগুলো উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শ্রীমঙ্গল। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় বন্যপ্রাণী বিভাগ।

আটককৃত শিকারী উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কানাইদেশী গ্রামের তাজ বক্সের ছেলে আনছর আলী (৫০)। পালিয়ে যাওয়া দুইজন হলো আশরাফুল মিয়া ও আজিবুর। তাদের দুইজনের বাড়ি একই উপজেলার রাজকান্দি গ্রামে।

পরিবেশবাদী ও Stand For Our Endangered Wildlife (SEW) টিম সোহেল শ্যাম বলেন, শিকারীরা পাখি শিকার করলে তা যায় প্রভাবশালীদের ঘরে। যার কারণে অবাধে চলছে শিকার। এভাবে শিকার হলে ধ্বংস হয়ে যাবে বন্যপ্রাণীরা। তিনি বলেন, আমার মুঠোফোনে কল আসে শিকারীরা ফাঁদ পেতেছে পাখি শিকারের জন্য। বিষয়টি তাৎক্ষণিক বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে অবহিত করলে তিনি এসইডাব্লিউ টিমের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে জবাই করা ১০ মুনিয়া পাখি ও ১টি বুলবুলি ও জীবিত ১১ মুনিয়া পাখি উদ্ধার করেন। একই সঙ্গে জীবিত ১১টি মুনিয়া উদ্ধার করে অবমুক্ত করেন।

এ সময় কুরমা চা বাগানের বাঘাছড়া হাওড় হতে শিকার করার সরঞ্জাম, ১টি দা, ২টি বাইসাইকেল ১টি মোবাইল ফোন ও ১টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। এ সময় উপস্থিতি বুঝতে পেরে দুইজন শিকারী পালিয়ে যায় এবং একজনকে আটক করা হয়।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরো বলেন, এর আগে গত ১৮ মার্চ একই এলাকা থেকে জবাই করা ৩৮টি মুনিয়া উদ্ধার করা হয়। এ সময় শিকারীরা পালিয়ে যায়।

পিডিএস/এএমকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আটক,পাখি শিকারী,কমলগঞ্জ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close