মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি :
ইউপি কার্যালয়ে আটকে নির্যাতনের ঘটনা অস্বীকার করে চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

নরসিংদীর মনোহরদীতে চুরির অভিযোগে ছেলেকে না পেয়ে বাড়ি থেকে বাবাকে ধরে এনে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্যাতন। এমন ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর ঘটনা অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন খিদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাউছার রশিদ বিপ্লব।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকালে খিদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ইউপি সদস্য গোলাপ মিয়া, দুলাল মিয়া, শফিকুল ইসলামসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান কাউছার রশিদ বিপ্লব বলেন, ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আঙ্গুর মিয়ার ছেলে সাদিকুল ইসলাম সোহাগ মিয়া নামে এক ব্যক্তির ছাগল চুরি করে। পরবর্তীতে কটিয়াদী বাজারে বিক্রি করতে গেলে বাজারের লোকজন তাকে সন্দেহ করে আটক করে। পরে ছাদিকুলের বাবা আঙ্গুর আকনকে ফোন করলে তিনি সেটা নিজের ছাগল বলে জানায়। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে সত্যতা যাচাই করার জন্য কয়েকজন লোক ছাগল বহনকারী সিএনজির চালককে সঙ্গে নিয়ে ছাদিকুলের বাড়িতে যান। এ সময় ছাদিকুলকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন তার বাবা আঙ্গুর আকন। পরে তারা আঙ্গুরকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন এবং তার ছেলেকে সেখানে আনতে বলেন। কিন্তু আঙ্গুর তার ছেলেকে সেখানে আসতে নিষেধ করেন। ইফতারের সময় কার্যালয়ে লোকজন না থাকার সুযোগে তার লোকজন দিয়ে আঙ্গুর মাটিতে লুটিয়ে পড়ার ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে তা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। প্রকৃতপক্ষে তাকে কেউ মারধর করেনি। এমনকি তাকে কোনো প্রকার কটু কথাও বলা হয়নি। ছাদিকুল এলাকায় একজন চোর হিসেবে চিহ্নিত। এ পর্যন্ত সে এলাকা থেকে শতাধিক গরু-ছাগল চুরি করেছে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওই চক্র সম্প্রতি আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে আমাকে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে উঠেপড়ে লেগেছেন। ষড়যন্ত্রকারীরা আমার সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করিয়েছে। আমাকে নিয়ে যে অপপ্রচার হয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ ও মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
পিডিএস/এএমকে