ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

  ৩১ মার্চ, ২০২৩

কার্যালয়ে আটকে রেখে এনজিও কর্মীকে ধর্ষণ

প্রতীকী ছবি

ঢাকার ধামরাইয়ে একটি এনজিওর শাখার কর্মীকে কার্যালয়ের ভেতরে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হিসাব রক্ষক এই ধর্ষণ করলেও তাকে সহযোগিতা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির আঞ্চলিক কর্মকর্তাসহ কয়েকজন।

এ অভিযোগে ৪ সহযোগীসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে ধামরাই থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত এনজিওটির কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। এরিয়া ম্যানেজার জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে এর আগেও নারী গ্রাহকদের যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে এনজিও কার্যালয়ের দোতলায় নিয়ে ধর্ষণ করেন মনির হোসেন। পর ২৬ মার্চ কার্যালয়ের দোতলায় নিয়ে শামীম ও জিল্লুর রহমান ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তার ডাক-চিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন এসে ভুক্তভোগী নারীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পর সুস্থ হলে বাড়ির মালিকসহ অভিযুক্তরা জোর করে তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন। এই ঘটনায় কোনো মামলা করা হলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

ভুক্তভোগী এনজিও কর্মী বলেন, ‘আমাকে দুইদিন অফিসের ভেতর আটকে রেখে মনির স্যার ধর্ষণ করেছে। ম্যানেজার জিল্লুর স্যারও ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। জিল্লুর আমাকে বলে মামলা করতে পারবি না বলে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন।’

স্থানীয় বাসিন্দা তাহের হোসেন বলেন, এনজিওর এক নারীকর্মীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন মনির হোসেন ও জিল্লুর রহমান এমনটা শুনেছি। ওই নারীকর্মী আমাদের কাছে বিচার চেয়েছেন। আমরা বলেছি, আপনি পুলিশের কাছে যান।’

এদিকে অভিযোগে বিষয় জানতে ওই এনজিও কার্যালয়ে এরিয়া ম্যানেজার জিল্লুর রহমান স্থানীয় সাংবাদিকেরা ওপর ক্ষেপে যান। তবে মামলা হওয়ার পর গা-ঢাকা দিয়েছেন অন্য আসামিরা।

জানতে চাইলে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান বলেন, এনজিওর নারীকর্মী ধর্ষণের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কার্যালয়ে আটক,এনজিও কর্মীকে ধর্ষণ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close