সাহিদা আক্তার সাথী, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)

  ২৯ মার্চ, ২০২৩

রায়পুরে বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় রোরো ধানের একটি খেত। ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বোরো ধান আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। একটুও যেন সময় নেই তাদের দম ফেলার। শীত আর গরমের হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে মনে অনেক স্বপ্ন নিয়ে বোরো ধান আবাদে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩৫ হাজার ৫০০ হেক্টর। বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত করা হয় ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯১৫ টন। এ বছর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৯১ হেক্টর। জেলায় ৫টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধান আবাদ করা হয়েছে। সদরে ১২ হাজার ৬০০, রায়পুরে ১০ হাজার ৩৬৬, রামগঞ্জে ৮ হাজার ৭০০, রামগতিতে ৭২৫, কমলনগরে ২ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। রায়পুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর খালে দেরিতে পানি আসার কারণে কৃষকদের পানি দিতে দেরি হয়। উপজেলায় সম্ভাব্য বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬৫ হাজার ৫৯৩ টন। এ বছর রায়পুরের জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে ১০ হাজার ৩৬৬ হেক্টর। ২০২২ সালে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে ১০ হাজার ৩৫০ হেক্টর, যা গত বছরের তুলনায় এ বছর ১৬ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলায় যে ইউনিয়নগুলোতে ভালো ফলন হয় তার মধ্যে ১ নম্বর উত্তর চর আবাবিল, ৯ নম্বর দক্ষিণ চর আবালি, ৩ নম্বর চর মোহনা, ২ নম্বর উত্তর চরবংশী, ৮ নম্বর দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন। বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেক কৃষকের বোরো ধান লাগানো প্রায় শেষ। আবার অনেক কৃষক এখনো চারা লাগাচ্ছেন।

রায়পুর পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক মো. ঈসমাইল হোসেন বলেন, গত বছর অধিক ফলন হওয়ায় আমি এবারও ৩ একর জমিতে বোরো ধান আবাদ করি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, রোগ-বালাই না হলে গত বছরের তুলনায় এবার বেশি ফলনের আশা করছি। ঈসমাইল হোসেন আরো বলেন, কৃষকরা যাতে ধানের ন্যায্যমূল্য পান এ ব্যাপারে আমরা সরকারের কাছে সু-পদক্ষেপ কামনা করছি। কিন্তু কয়েক বছর ধরে সরকারিভাবে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনায় সব কৃষক খুব খুশি।

রায়পুর কেরোয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক মো. হোসেন আহমেদ বলেন, আমি এবার ৯০ শতাংশ জমিতে বোরো ধান আবাদ করি। কৃষি অফিসের বিভিন্ন সুপরামর্শ এবং বিনা মূল্যে প্রণোদনা পেয়েছি। আমি গত বছর ৫০ শতাংশ জমিতে আবাদ করি, বোরো ধানে লাভ বেশি হওয়ায় এবার আরো ৪০ শতাংশ জমিতে বেশি আবাদ করি। তাই আমি অনেক বেশি ফলনের আশাবাদী।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলা থেকে বীজ তোলা, খেত তৈরি করা, চারা রোপণ করা। বোরো ধান রোপণে কৃষকদের সুপরামর্শ ও প্রশিক্ষণ করাচ্ছি এবং কৃষি বিভাগ থেকে ৫৭০০ জন কৃষকের মধ্যে ৫৭০০ বিঘা জমি বিনা মূল্যে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৮টি প্রকল্প প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদের অনুপ্রাণিত করা হয়েছে, যা কৃষকদের জানার ও শিখার জন্য অনেক সহজ হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রায়পুর,বোরো আবাদ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close