চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম সদর হাসপাতালে বিশ্ব যক্ষা দিবস পালন

বিশ্ব যক্ষা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘হ্যাঁ! আমরা যক্ষা নির্মূল করতে পারি!’। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বেলা ১২টায় হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও উপ-পরিচালক ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সুমন বড়ুয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম মোস্তফা জামাল। হাসপাতালের সর্বস্তরের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আগে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি আন্দরকিল্লা হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে পুনরায় জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও উপ-পরিচালক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, টিউবারক্যুলোসিস (টিবি) বা যক্ষা শুধু ফুসফুসের ব্যাধি নয়। এটি বায়ুবাহিত ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রামক ব্যাধি যেটা মাইক্রোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস জীবাণুর সংক্রমণে হয়ে থাকে। ডা. রবার্ট কক এ রোগের জীবাণু আবিস্কার করেন। মস্তিস্ক থেকে শুরু করে ত্বক, অন্ত্র, লিভার, কিডনি ও হাড়সহ শরীরের যে কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে যক্ষার সংক্রমণ হতে পারে। যক্ষা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে। ফুসফুসে যক্ষার জীবাণু সংক্রমিত হলে টানা কয়েক সপ্তাহ কাশি ও কফের সাথে রক্ত যায়। আমাদের এমন কোন অঙ্গ নেই যেখানে যক্ষা হয়না। তবে বর্তমান সময়ে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। যক্ষা হলে চিকিৎসার মাধ্যমে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আন্তরিকতার কারণে দেশের হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে যক্ষা রোগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসা-সেবা পাচ্ছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে যক্ষা রোগের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সামগ্রীও রয়েছে। এ ব্যাপারে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। পরিবারে যক্ষা রোগী থাকলে শিশুসহ সবাইকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সমন্বিত উদ্যোগের ফলে যক্ষা নির্মূল সম্ভব।