পটুয়াখালী প্রতিনিধি
গৃহহীন মুক্ত পটুয়াখালীর পাঁচ উপজেলা
দেশের ২১১টি উপজেলাকে শতভাগ ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে পটুয়াখালী সদরসহ পাঁচটি উপজেলাও রয়েছে। বুধবার (২২ মার্চ) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালী সদর উপজেলা, মির্জাগঞ্জ, দুমকি, রাঙ্গাবালী ও দশমিনাসহ দেশের ২১১টি উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেন।
চতুর্থ পর্যায়ে প্রায় ৪০ হাজার ভূমি ও গৃহহীন পরিবারে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন শেষ হলে সদর উপজেলার ছয়টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের হাতে জমি ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন।
অনূষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার, জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা বেবী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহানা হোসেন মিকি।
পটুয়াখালীর আটটি উপজেলায় সাত হাজার ৩৫০টি পরিবারে জমিসহ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় এক হাজার ২৫২টি, মির্জাগঞ্জে ৩৭৩টি, দুমকিতে ৪২৩টি, বাউফলে ৭৪৩টি, দশমিনায় ২৬০টি, গলাচিপায় এক হাজার ৪০৪টি, কলাপাড়ায় ৯৬৩টি ও রাঙ্গাবালীতে এক হাজার ৯৩৩টি পরিবার ঘর পেয়েছে।
সদর উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৩০০টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮৭০টি, তৃতীয় পর্যায়ে ৩৬২টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে লাউকাঠী ইউনিয়নে ১১৬টি, বদরপুরে ৭৮টি, ইটবাড়িয়ায় ২৪১টি, লোহালিয়ায় ২১টি, কমলাপুরে ৭৭টি, জৈনকাঠীতে ১৩০টি, কালিকাপুরে ৪৭টি, মাদারবুনিয়ায় ১৪৭টি, ছোটবিঘাই ইউনিয়নে ১১১টি, মরিচবুনিয়ায় ৬৪টি, আউলিয়াপুরে ১০৯টি, বড়বিঘাই ইউনিয়নে ৩৪টি, ভুরিয়া ইউনিয়নে ৫৫টি ও পটুয়াখালী পৌরসভায় ২২টি পরিবার রয়েছে।