বেলকুচি(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি:
এনায়েতপুরে লতিফ বিশ্বাসের জনসভা প্রত্যাখ্যান

নৌকা বিদ্রোহীদের নিয়ে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ইউনিয়ন যুবলীগের আয়েজনে আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের জনসভা প্রত্যাখ্যান করেছেন থানা আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ। রোববার(১৯ মার্চ) বিকেলে থানার বেতিল হাই স্কুল মাঠে জনসভা মঞ্চে দেখা যায়নি থানা আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ নেতাদের। এ নিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
এনায়েতপুর থানা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানান, সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আয়োজনে ২০ জুন রোববার বিকেলে জনসভার আহ্বান করা হয়। এজন্য এলাকায় ব্যাপক মাইকিং ও প্রচারণা করা হয়। তবে জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বিগত উপজেলা নির্বাচনে বেলকুচি উপজেলা পরিষদে নৌকার বিদ্রোহী চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাবেক ভিপি নুরুল ইসলাম সাজেদুল ও নৌকা বিদ্রোহী পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজাকে অতিথি হিসেবে প্রচারণা চালায়। এতে ক্ষুব্দ হয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছে তা প্রত্যাক্ষান করেছেন। জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। লতিফ বিশ্বাসের মেয়ের জামাতা সাজেদুল ও পুতারা রেজা, ছেলে লাজুক বিশ্বাস ও স্ত্রী আশানুর বিশ্বাসসহ দলের সাবেক নেতা সনিয়া-মোহাম্মদ দম্পত্তিসহ কয়েকজন বক্তব্য রাখেন।
এনায়েতপুর থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলী বিএসসি জানান, বেতিল হাই স্কুলে মাঠে যুবলীগের জনসভা বিতর্কিত ছিল। এখানে মূলত নৌকা বিদ্রোহীদের দিয়ে জনসভা করেছেন। জনসভায় এনায়েতপুর থানা আওয়ামীলীগের কোন সিনিয়র নেতা ছিল না। সবাই একযোগে প্রত্যাক্ষান করেছেন। এখানে বির্তকিত কিছু নেতাকে এনে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের বিরোধীতা করেছেন। সরকারের উন্নয়নের বিরোধীতা করে কি বার্তা দিতে চায় সেটা এখন পরিষ্কার। এরা মূলত বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, জনসভায় লতিফ বিশ্বাসের পরিবারের গুনগান করতে তার পরিবারের চারজন বক্তব্য দিয়েছেন। তারা নৌকা বিরোধী। দলের নেত্রীর উন্নয়নের কথা না বলে নিজেদের গুনকীর্তনে ব্যস্ত। এছাড়া দলের উন্নয়ন তাদের চোখে পড়ে না, সমাবেশে শুধু সমালোচনা করা হয়েছে।
এনায়েতপুর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আহম্মদ মোস্তফা খান বাচ্চু বলেন, যে জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত এমপি ও সরকারের উন্নয়ন বিষেধগার করেছেন সেটা মূলত একটি অপশক্তির জনসভা। এখানে সরকারের কোন পজেটিভ দিক নিয়ে আলোচনা হয়নি। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আগামীতে নৌকা বিরোধী সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করা হবে।
এদিকে বেতিল হাইস্কুল মাঠের জনসভায় নির্বাচনী এলাকার বাহিরে থেকে ভাড়াটিয়া লোক এনে শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করা হয়েছে। এতে কোন লাভ হবে না বলে দলীয় নেতারা জানিয়েছেন। তাছাড়া রোবাবর জেলা আওয়ামীলীগের নবগঠিত কমিটি সকল উপজেলা কমিটির সভাপতি সম্পাদকের নিয়ে টুঙ্গিপাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারতে যায়। কিন্তু জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশানুর বিশ্বাস তাদের সমাবেশেকে প্রধান্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারতে যায়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিনিয়র নেতারা।