নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় ফৌজিয়া সুলতানা আরশী প্রিয়া (২৩) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে ঘটনার থেকে পালিয়েছেন নিহতের স্বামী। আরশী প্রিয়া উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামের খাঁরগো বাড়ির সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী।

শনিবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আজিমপুর গ্রামের খাঁরগো বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে একই দিন সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানান স্থানীয়রা।

নিহতের বড় ভাই ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তিন বছর আগে সাদ্দামের সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। সাদ্দামের আগেও বিয়ে করেছিল। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। কিন্ত আরশী প্রিয়ার একটি সন্তান হওয়ার পর সে জানতে পারে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার স্বামীর সম্পর্ক আছে। কিছু দিন আগে সে ঘরে একটি সন্তান জন্ম নেয়। এ নিয়ে তার স্বামীর সঙ্গে কলহ দেখা দেয়। এ নিয়ে আরশী প্রিয়ার শাশুড়ী তাকিয়া খাতুন খুব খারাপ ব্যবহার করত। কয়েক দিন আগে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্বামী তাকে মারধর করে। তার বোনকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।

সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিডিএস/মীর