কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পাড়ে আয়োজিত মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা জমে উঠেছে। শেষ সময়ে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়ে বেড়েছে বিক্রিও। ১ ফেব্রুয়ারি শেখ রাসেল শিশু পার্কে কুড়িগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে প্রথমবারের মত শুরু হয় শিল্প ও বাণিজ্য মেলা।

ধরলার নদীর পাড়ে মনোরম এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশ হওয়ায় কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ি, রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী ও পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকা থেকে মেলায় দলে দলে প্রবেশ করছেন দর্শনার্থীরা। মেলায় শিশুদের বিনোদনের জন্য সার্কাস, ভূতের বাড়ি, নাগরদোলা, বেবি ট্রেন, ওয়াটার বোট রয়েছে। এছাড়া মেলায় পাওয়া যাচ্ছে ব্লেজার, থ্রি-পিস, শো-পিস, জুয়েলারি পণ্য, মুখরোচক খাবার। মেলায় এবারে সবচেয়ে বেশি আর্কষণ হচ্ছে ইমিটেশনের গহনা, কসমেটিকস, শাড়ি, থ্রি-পিস ও জুতার স্টলগুলো। এ স্টলগুলোতে নারী ক্রেতাদের সংখ্যা বেশি। মেলায় শতাধিক স্টলে বাহারি রং বেরংয়ের পণ্য সামগ্রী কিনতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত দর্শানার্থীরা আসছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে মেলা চত্বর।

কুড়িগ্রাম শহর থেকে আসা মেহজাবিন আরা জানান, ধরলা নদীর পাড়ে মনোরম পরিবেশে আয়োজন, সত্যি ভালো লাগছে। ভূরুঙ্গামারী উপজেলা থেকে আসা লাবনী আকতার বলেন, ‘শুধু মেলা দেখার জন্য আসিনি। এখানকার পরিবেশটাই আলাদা। পরিবারকে নিয়ে এসেছি। খুব ভালো লাগছে। আমরা প্রতি বছর এমন আয়োজন প্রত্যাশা করছি।’

লালমনিরহাট থেকে পরিবারসহ ঘুরতে আসা ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘আমি কুড়িগ্রামের বেলগাছা পলাশবাড়িতে আত্মীয়ের বাসায় এসেছে। শুনেছি নদীর পাড়ে মেলা হচ্ছে। এসে জমকালো আয়োজন দেখে খুবই ভালো লাগছে। সত্যি দেখার মত পরিবেশ।’

ব্যবসায়ী মামুন সরকার বলেন, ‘কুড়িগ্রাম শহরের ধরলা নদীর পূর্ব প্রান্তে এতো সুন্দর পরিবেশে মেলা আয়োজন এবারই প্রথম। শহরের অদূরে কোলাহল ও যানজট মুক্ত মেলা প্রাঙ্গণে আসতে পেরে সবাই আনন্দিত।

কুড়িগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আলহাজ আব্দুল আজিজ মিয়া বলেন, ‘অবহেলিত কুড়িগ্রামের উন্নয়ন ও সারাদেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে জেলাকে উপস্থাপন করতে প্রথমবারের মত মেলাটি আয়োজন করেছি। যাতে কুড়িগ্রাম তথা সারাদেশের মানুষ নির্বিঘ্নে উপভোগ করতে পারে। আগামীতে আমরা মেলা আন্তর্জাতিক মানের করতে পারবো।’

পিডিএস/এইচএস