গাজীপুর প্রতিনিধি
অপমৃত্যু নয় খুন হন রবিউল, তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই
প্রায় আড়াই বছর আগে গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুরের একটি অটোরিকশার গ্যারেজ থেকে ফাঁসিতে ঝোলানো হামিদুল ইসলাম ওরফে রবিউল (২০) নামে এক পোশাক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তখন নিহতের মা এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে প্রকাশ পায় রবিউলকে খুন করা হয়েছে।
এ খুনের ঘটনায় জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার এবং খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে গাজীপুর পিবিআই। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানার চাকামহিয়া এলাকার সোহেল হাওলাদার (২৭), বগুড়ার সোনাতলা থানার পাঠানপাড়া এলাকার রতন মিয়া (২৫), একই এলাকার ইস্রাফিল (৪০)।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, বগুড়ার সোনাতলা থানার দিগদাইড় এলাকার হামিদুল ইসলাম ওরফে রবিউল তার মাকে নিয়ে কাশিমপুর থানার এনায়েতপুর এলাকায় ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। মাঝেমধ্যে রাতে পার্শ্ববর্তী অটোরিকশা গ্যারেজে গিয়ে তাদের ওয়াইফাই ব্যবহার করতেন রবিউল। ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ওই গ্যারেজে যান রবিউল। রাত ৩টার দিকে তার মা গ্যারেজে গিয়ে রবিউলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
তিনি বলেন, কাশিমপুর থানা পুলিশ ১০ মাস তদন্ত শেষে মামলার রহস্য উদঘাটন করতে না পেরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মামলাটি পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপারন আরো জানান, রবিউল গ্রেপ্তারকৃত ইস্রাফিলের বিবাহিত মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। মেয়ের সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য ইস্রাফিল তাকে হত্যার পরিকল্পা করে। একপর্যায়ে সহযোগীদের নিয়ে ইস্রাফিল গলায় রশি পেচিয়ে রবিউলকে মারধর করেন। রবিউল অচেতন হয়ে পড়লে গ্যারেজের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।