মনির হোসেন, বেনাপোল (যশোর)

  ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

যশোরের দুই উপজেলায় শহীদ মিনার নেই ৩৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

প্রতীকী ছবি

যশোরের শার্শা ও ঝিকরগাছা উপজেলাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের নির্দেশ দিয়েছে জেলা শিক্ষা অফিস। অথচ জেলার এ দুটি উপজেলার ৪৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার নেই ৩৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এরমধ্যে অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার। উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে পাওয়া তথ্যে এটা জানা গেছে।

শার্শা উপজেলার ১২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার নেই ১০১টি বিদ্যালয়ে। ২৪টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে। ঝিকরগাছা উপজেলার ১৩১টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার নেই ১১২টি বিদ্যালয়ে। ১৯টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে।

এদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানিয়েছে, এ দুটি উপজেলার ১৭৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের মধ্যে শহীদ মিনার নেই ১১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ৫৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার আছে। এর মধ্যে শার্শার ৮৩টি বিদ্যালয় ও কলেজের মধ্যে শহীদ মিনার নেই ৪৯টি প্রতিষ্ঠানে। ৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে। ঝিকরগাছার ৯৩টি বিদ্যালয় ও কলেজের মধ্যে শহীদ মিনার নেই ৭৩টি প্রতিষ্ঠানে। ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার আছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, প্রতিটি স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে শহীদ মিনার নির্মাণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে যাদের সামর্থ্য আছে তারা নিজ খরচে প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করবে। আর যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের সামর্থ নেই, ওইসব প্রতিষ্ঠান শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে আবেদন করবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য সরকারিভাবে অর্থ বরাদ্দ নেই। যে যে এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে, প্রধান শিক্ষক ওই এলাকার জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক ব্যক্তির সহযোগিতায় শহীদ মিনার নির্মাণ করবে। যদি কোনো বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকে, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পাশর্^বর্তী বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকলে সেখানে ফুল দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে।

পিডিএস/মীর

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,যশোর,শহীদ মিনার
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close