গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তিন ফসলি জমিতে মাটি খনন করে জোরপূর্বক দখল প্রচেষ্টা করা হয়েছে। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আমিন দাড়িয়া ও তার আত্মীয়রা এই কাজ করেছেন। ভুক্তভোগী ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান। তবে যাদের বিরুদ্ধে এই জমি দখলের অভিযোগ করা হয়েছে, তারা বলেছেন এই জমি তাদের। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম তালুকদার। অভিযুক্ত বদরুল আমিন দাড়িয়া টুঙ্গিপাড়ার পার্শ্ববর্তী নাজিরপুর উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের প্যানাখালী গ্রামের বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ঝনঝনিয়া মৌজার ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ১ দশমিক ২৫ একর জমি আমার পৈতৃক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি। এই জমি আমরা বিগত ৪০ বছর ধরে ভোগদখল করছি। গত শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে বদরুল লেবুতলা গ্রামের ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি বিক্রি করতে বলে। আমি জমি বিক্রি করতে না চাইলে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ৩০ জন লোক নিয়ে আমার তিন ফসলি জমি নষ্ট করে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি খনন করে বদরুল ও তার দুই শ্যালক। তখন এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ৯৯৯ এ ফোন করলে বদরুল ও তার লোকজন ভেকু মেশিন নিয়ে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তার দুই শ্যালক সাজ্জাদ ও রাজু তাদের পরিবারের সবাইকে খুন করার হুমকি দেয়।

তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগেও টুঙ্গিপাড়ার লেবুতলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মিনজিল হোসেনের সম্পত্তি দখল করতে তাদের মেয়েদের মারধর করা হয়। বদরুল ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার পদে চাকরি করলেও তার মূল ব্যবসা ভূমি দস্যুতা। এই ভূমিদস্যুর হাত থেকে রক্ষা পেতে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বদরুল আলম দাড়িয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার শ্যালক রাজু তালুকদার বলেন, ওই জায়গা আমাদের তাই আমরা ভেকু দিয়ে মাটি খনন করেছি। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।