পটুয়াখালীর দুমকিতে বরিশাল-পাগলা-দুমকি-বাউফল মহাসড়কের দুই পাশে জায়গা দখল করে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়িক কর্মকা- পরিচালনা করে আসছেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা। হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। ব্যস্ততম এ সড়কের মাঝখানে ট্রাক থামিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মালামাল ওঠানামা প্রায় নিত্যদিনের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বরিশাল-পাগলা-দুমকি-বাউফল সড়কের পাশের জায়গা দখল করে গাছ ব্যবসায়ীদের লাকড়ি-গাছ, ফরিয়াদের তুষ-কুড়া-ধান, নির্মাণসামগ্রী ব্যবসায়ীদের রড-সিমেন্ট-ইট, ডিলারের গোডাউনে মালামাল সংরক্ষণ, চেরাই কাঠ ব্যবসায়ীদের সাজানো কাঠ, স’ মিলের সামনে রাস্তার উভয় পাশে বিক্রির উদ্দেশে থরে থরে সাজানো গাছ রাখা আছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় স্কয়ার এলাকা, নতুন বাজার এলাকা, থানাব্রিজ এলাকা, রাজাখালী বাজার এলাকা, তালতলী বাজার এলাকা, বোর্ড অফিস বাজার এলাকা ও চরগরবদি ফেরিঘাট এলাকার খালি জমি এখন আর খালি নেই।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় প্রশাসনকে হাত করে সওজ কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতি ছাড়াই সড়কের পাশের সরকারি জমি বেদখল করে দিনের পর দিন এসব ব্যবসা বাণিজ্য চলছে। পথচারীদের একজন মো. অপু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমনিতেই ফুটপাত নেই বললেই চলে। এরপর রাস্তার ওপরে এভাবে যদি ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান রাখা হয় তবে আমরা চলাচল করি কীভাবে। রাজাখালি গ্রামের জামিল বলেন, ‘রাস্তায় ধানের বস্তা, লাকড়ি এসব রাখায় আমাদের অটোরিকশা চালাতে বেগ পেতে হয় এবং পথচারীদের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিকুল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে ইউএনওর সহযোগিতা নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল ইমরান প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, যারা সড়ক দখল করে রেখেছেন তাদের চিহ্নিত করে নোটিসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। অন্যদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।