সাজাদুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম)

  ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

ইউনিয়ন অংশের বেতন পাচ্ছেন না গ্রাম পুলিশ    

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় ১২০জন গ্রাম পুলিশ ৭ মাস ধরে বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। নিয়মিত বেতন-ভাতা না পাওয়ায় অনেকের ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বন্ধ রয়েছে অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা-মায়ের চিকিৎসা। তবে তাদের বেতনের সরকার অংশ তারা পাচ্ছেন। বাকি পড়েছে ইউনিয়ন অংশের টাকা।

গ্রাম পুলিশ ও ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে মোট ১২০জন গ্রাম পুলিশ সদস্য রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন দফাদার ও ১'শ ৮জন মহল্লাদার রয়েছে। দফাদার প্রতি মাসে ৭ হাজার ও মহল্লাদার ৬ হাজার ৫ শ টাকা ভাতা পান। মোট ভাতার অর্ধেক সরকারি ভাবে এবং বাকী অর্ধেক উপজেলা পরিষদের রাজস্ব খাত থেকে দেওয়া হয়। মোট বেতনের অর্ধেকের সরকারি অংশ নিয়মিত পেলেও উপজেলা পরিষদের বাকী অংশের ভাতা দীর্ঘ ৭মাস থেকে বকেয়া থাকায় গ্রাম পুলিশ সদস্যরা পরিবার পরিজন নিয়ে অতি কষ্টে জীবনযাপন করছেন।

গুনাইগাছ ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমরা ইউপির অংশের ভাতা ৭/৮ মাস থেকে পাই না। আমাদের সংসার চালানো খুবই মুশকিল হয়ে পড়েছে। আমরা সামান্য বেতন পাই তাও নিয়মিত পাই না। ঠিকভাবে বাবা-মায়ের চিকিৎসা করাতে পারি না, সন্তানদের স্কুলে দিতে পারি না, পোশাকপাতি দিতে পারি না। দিনরাত আমাদের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। কখনও চেয়ারম্যান ডাকে, এক সময় মেম্বার ডাকে, একবার থানা ডাকে আবার কোন সময় ইউনও ডাকেন। সামন্য বেতনটুকু না পেয়ে খুব কষ্টে আছি।

গ্রাম পুলিশ ইউনিয়নের সভাপতি সচীন চন্দ্র বলেন, সরকারি অংশের ভাতা নিয়মিত পাচ্ছি। কিন্তু উপজেলা পরিষদের রাজস্ব খাতের অংশ দীর্ঘ ৭ মাস থেকে পাচ্ছি না। ফলে আমরা নিয়মিত ভাতা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছি।

গ্রাম পুলিশ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহআলম সরকার বলেন, আমরা সরকারের কর্মচারী বটে, সরকার আমাদের দিয়ে সব কাজ করিয়ে নিচ্ছে, আমরাও দায়িত্ব মতো জন্মনিবন্ধন থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত সকল কাজ করছি। ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্ব পালন করি, থানায় হাজিরা দেই ও ইউএনও অফিসে রোল কলে যাই, যখন যেখানে ডাকে যথাসময়ে যাওয়ার চেষ্টা করি ও সেই কাজগুলো করি। তিনি আরও জানান, সরকার যে আমাদের বাহিনী স্বীকৃতি দিয়েছে আমরা বাহীনির যে একটা ন্যায্য মূল্যের প্রাপ্য টাকা পাবো, জাতীয় স্কেলে অর্ন্তভূক্ত হবো আজও আমরা অর্ন্তভূক্ত হই নাই। সমান্য বেতনটুকুও ৭ মাস থেকে না পেয়ে আমরা অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছি।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার শোভন রাংসা এ বিষয়ে বলেন, সরকারি অংশের ভাতা রয়েছে। ইউপি অংশের টাকা না থাকলে কোথায় থেকে দিবো। যেহেতু সামনে হাট-বাজারের ইজারা রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের টাকা আসলে আমরা দিয়ে দিবো।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
উলিপুর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close