চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :

  ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

সিইউজের অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী

‘দেশ পাকিস্তান নাকি মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর হবে সেই সিদ্ধান্ত আগামী নির্বাচনে’

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একটি কথা আমাদের মাথায় রাখতে হবে, সেটি হচ্ছে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে কিনা? দেশ আবার পশ্চাৎপদ হবে কিনা? দেশ পাকিস্তান হবে নাকি মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর হবে সেই সিদ্ধান্ত হবে আগামী নির্বাচনে।

তথ্যমন্ত্রী হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এটি নির্বাচনের বছর, সাংবাদিকেরা জনমত গঠন করে, মানুষের মনন তৈরি করে। আগামী নির্বাচন দেশের জন্য এবং জাতির জন্য অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। কারণ সেই নির্বাচনে ফয়সালা হবে দেশের যে উন্নয়ন অগ্রগতি চলমান সেটি অব্যাহত থাকবে কিনা। নাকি দেশ আবার পশ্চাৎপদ হবে, সেটি সিদ্ধান্ত হবে।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ন সম্পাদক সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণে সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক দীপ আজাদ, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক প্রমুখ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১৪ বছরে আমরা ২৫টি দেশকে পেছনে ফেলে এখন ৩৫তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হয়েছি। এই ৩৫টি দেশের মধ্যে অর্থনীতির আকারে জিডিপিতে আমরা মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরকে পেছনে ফেলেছি। আর পিপিপিতে আমরা পৃথিবীতে ৩১তম অর্থনীতির দেশ।

তিনি বলেন, আজ থেকে ১৪ বছর আগে মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলার, এখন মানুষের মাথাপিছু আয় ২৯০০ ডলারের কাছাকাছি। ১৪ বছর আগে আমরা সব সূচকে পাকিস্তান থেকে পিছিয়ে ছিলাম, আজ থেকে ৬-৭ বছর আগে সব সূচকে আমরা পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি। করোনা মহামারির মধ্যে অর্থনৈতিক সূচকে মাথাপিছু আয় এর ক্ষেত্রে ভারতকে অতিক্রম করেছে। যে বদলে যাওয়া উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে কিনা সেটি আগামী নির্বাচনে ফয়সালা হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে যেভাবে সাংবাদিকদের সহায়তা করা হচ্ছে উপমহাদেশের কোনো দেশে এভাবে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে সাংবাদিকদের সহায়তা করা হয় না। করোনাকালীন সময়ে বিশেষ তহবিল গঠন করে যেভাবে সাংবাদিকদের সহায়তা করা হয়েছে সেটিও উপমহাদেশের কোনো দেশে করা হয়নি। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনার চিন্তা প্রস্তুত একটি প্রতিষ্ঠান। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের ভরসার স্থল হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন সাংবাদিকবান্ধব নেত্রী। তার সরকার সাংবাদিক বান্ধব সরকার। সে কারণেই সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সহায়তা করা হচ্ছে। এর বাইরেও প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব ঐচ্ছিক তহবিল থেকে মাঝেমধ্যে সাংবাদিকদের সহায়তা করে থাকেন।

পিডিএস/এএমকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পাকিস্তান,মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর,নির্বাচন,তথ্যমন্ত্রী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close