যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, ‘দেশে মাঠের সংখ্যা কমে যাওয়ায় খেলাধুলা কমে গেছে। যুব সমাজকে মাঠমুখী করতে সরকার বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ১৮৬টি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে। এছাড়াও আরও ১৫১টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়ামের কাজ শুরু হবে। যাতে করে যুব সমাজ ও তরুণ প্রজন্ম মাদক ও মোবাইল আসক্তি থেকে বেরিয়ে পুনরায় খেলার মাঠমুখী হয়।’

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

দেশে খেলোয়াড়দের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টিতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘আমাদের তালিকাভুক্ত ৫৩টি ইভেন্ট ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে। তারা দেশের ক্রিড়া জগতকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

আলোচনা সভার আগে মন্ত্রী মিনি স্টেডিয়ামের নামফলক উন্মোচন করেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নাম ফলক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নাম অনুসারে আমাদের মুজিবনগর। আমরা সেই মুজিবনগর তথা মেহেরপুরের বাসিন্দা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মেহেরপুরকে দুই হাত উজাড় করে দিচ্ছেন। শুধু মেহেরপুরই না, তিনি বাংলাদেশকে সব দিক থেকে এগিয়ে নিতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম, গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক এম এ খালেক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আমঝুপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহমেদ চুন্নু প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ও বারাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, বুড়িপোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ জামান, শ্যামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতিন, কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা প্রমুখ।

মিনি স্টেডিয়ামটি নির্মাণের চুক্তি মূল্য ধরা হয়েছে ২০ কোটি ৯ লাখ ৯১ হাজার টাকা। যেটি বাস্তবায়ন করছে ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।

পিডিএস/এমএইউ