জসিম উদ্দিন নাগর, ডিমলা (নীলফামারী)
তিস্তার চরে পেঁয়াজ চাষে আশার আলো

নীলফামারী ডিমলায় তিস্তা নদীর বিস্তৃর্ণ ধু ধু বালুচর এখন সবুজে সবুজ। যেদিকে চোখ যায়, শুধুই পেঁয়াজের আবাদ। গেল বন্যায় রোপা আমনে সর্বশান্ত হওয়ার পরে এবার লাভের আশায় পেঁয়াজ চাষে ঝুকছেন ওই চরের কৃষকরা। এবার পেঁয়াজের দাম বেশি, আবহাওয়া অনুকূলে, রোগ বালাই কম। বড় কোনো প্রকৃতিক বিপর্যয় না হলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন চরের চাষিরা।
জানা গেছে, কয়েক বছর পেঁয়াজের সঙ্কট এবং দাম বেশি হওয়ায় চরাঞ্চলের কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় গম ও তামাকের বদলে পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন তারা।
উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, টেপা খড়িবাড়ী, খগা খড়িবাড়ী, ঝুনাগাছ চাপানী, খালিশা চাপানী ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চর ঘুরে দেখা গেছে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন।
সরেজমিনে গিয়ে কৃষক নুর ইসলাম, হুকুম আলী, জুলহাস, আজাহার ও আবুল হোসেন এর সাথে কথা বলে জানা যায় তারা প্রত্যেকেই ৩/৪ বিঘা করে করে পেয়াজ চাষ করেছেন। ১৫শ টাকার বীজ কিনে রোপণ করে শতক প্রতি এক থেকে দেড় মণ করে পেঁয়াজ ফলনের আশা করছেন তারা।
হুকুম আলী বলেন, সব মিলে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এই খেতে। ৭০ শতক জমিতে ৭০ থেকে ৯০ মণ পেঁয়াজ পেলে বাজার অনুযায়ী মণপ্রতি ৫ থেকে ৬ শত টাকা দরে বিক্রি করলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আসবে। জুলহাস বলেন, ‘খরচ ও পরিশ্রম কম কিন্তু ভালো ফলন হওয়ায় চরের অধিকাংশ কৃষকেরাই এখন এই পেঁয়াজ চাষের দিকেই ঝুঁকছেন। সহজ সেচ ব্যবস্থা ও ন্যায্য মূল্যের নিশ্চয়তা পেলে চরের পেঁয়াজ চাষ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী জানান, তিস্তার চরে এখন বিভিন্ন ধরনের ফসলাদি হচ্ছে। চরাঞ্চলে বন্যা পরবর্তী ফসল হিসাবে ৬৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। এতে বিঘা প্রতি ৬০/৭০ মন পেঁয়াজ উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর মসলা জাতীয় এই ফসলে কৃষকরা সময়সময় লাভবান হন। চরের কৃষকদের ভালো ফলনের জন্য আমরা কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক পরামর্শসহ বীজ থেকে শুরু করে অন্যান্য উপকরণাদি সরবরাহ করে যাচ্ছি।