দখল ও দূষণ দেখতে গাজীপুরের কালীগঞ্জ অংশের শীতলক্ষ্যা নদী পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করেছেন দেশের ৭টি পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদী পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষন করেন।

পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশন, রিভার এন্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার, পরিবেশ ও নদী রক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, বাংলদেশ নদী পরিব্রাজক দল, জিবিএম বেসিন বেইজড পিপলস নেটওয়ার্ক, এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ ডেভেলাপমেন্ট অল্টারনেটিভ ও নদী অধিকার মঞ্চ।

এতে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন। এছাড়াও পরিবেশ ও নদী রক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এইচএম সুমন, নদী পরিব্রাজক দল কেন্দ্রীয় কমিটির আব্দুর রহমান আরমান, মনির সরকার ও পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা কালীগঞ্জের ভাদার্ত্তী থেকে জামালপুর পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদী পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষন করেন।

পরে নদী পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষন দলের প্রতিনিধিরা কালীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আশরাফুল আলম আইয়ুব, সাংবাদিক ওমর আলী মোল্লা, আহাম্মদ আলী, বিল্লাল হোসেন, তৌহিদুর রহমান, মাফুজা আফরিন মনি, তৈয়বুর রহমার, বিপ্লব হোসেন, রাসেল মিয়া, মোহাম্মদ এমরান হোসেন, মাহফুজুর রহমান জয়, আবু সালেক বাবু, ইনতিয়াজ আহমেদসহ স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন বলেন, শীতলক্ষ্যা নদীর কালীগঞ্জ খেয়াঘাট থেকে জামালপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত অংশটি দখল ও দূষণে বিপন্নপ্রায়। নরসিংদীর পলাশ ও গাজীপুরের কালীগঞ্জকে বিভক্ত করেছে শীতলক্ষ্যা। নদীটির দুই পাড়ে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগেও নিয়মিত নদী দখল ও দূষণ হচ্ছে। কাজেই দখল ও দূষণ থেকে ওই নদীকে বাঁচাতে হলে আমাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, নদীর দখল দূষনে স্থানীয় পেশাজীবীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তারাই ভূক্তভোগী। শিল্পকারখানাগুলো আর্থিকভাবে লাভবান হলেও ওই ভূক্তভোগীদের কথা কেউ চিন্তা করছে না। তাদের দিকে কে তাকাবে? তাই তাদের বিষয়টি দেখার জন্য বাস্তবায়নকারী সংস্থা বা রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করেন তিনি।