বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এখন শেষ সময়ে বলছেন, ‘থুক্কু আর খেলুম না’। ‘তারা গাড়ি নিয়েছেন, কোটি টাকা দান, দানের বাড়ি নিলেন, জনগণকে কী দিলেন? মির্জা ফখরুল আজ আবার বলেছেন, সরকারের পদত্যাগ না হলে তারা ঘরে ফিরবে না, সরকার তো আছেই, আসলে ওদের লজ্জা নেই, শরম নেই। ওরা দেশকে নরক রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল।’

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বগুড়া শহরের শহীদ খোকন পার্কে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নৌকা মার্কার নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন। সদর আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপুর নির্বাচনী সভায় সভাপতিত্ব করেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর রহমান মজনু। তিনি বলেন, উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে নৌকায় ভোট দিন। রিপু আপনাদের কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবেন। আর প্রধানমন্ত্রী আপনাদের উন্নয়নে যা যা দরকার তাই করবেন। বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু নামে কোনো কলঙ্ক নেই। তাকে মনোনীত করেছেন শেখ হাসিনা। বগুড়ার মানুষের উন্নয়নের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেই সুযোগ বগুড়াবাসীকে হাতছাড়া করা যাবে না। কারণ এবার রিপু নির্বাচিত না হলে সরকার ক্ষমতায় থাকবে, কিন্তু বগুড়া কাক্সিক্ষত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হবে। কারণ এখানে ভাড়াটিয়া নির্বাচিত হয়েছে, তারা কখনো এই এলাকার মানুষের জন্য ভাবেনি। তারা ভেবেছে নিজের স্বার্থ ও দলের স্বার্থের কথা।

সরকার দলের উচ্চপর্যায়ে এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উন্নয়নে বগুড়া ও গোপালগঞ্জের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তার কাছে চাইতে হবে। না চাইলে উন্নয়ন পাওয়া যায় না। তাই নৌকায় ভোট দিয়ে রাগেবুল আহসান রিপুকে বিজয়ী করে সদর আসন শেখ হাসিনাকে উপহার দিন। শেখ হাসিনা খুশি হয়ে বগুড়ায় উন্নয়নের যা যা দরকার তা রিপুকে দিয়ে আপনাদের কাছে পাঠাবেন। তাই এই নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক। তাই আর ভুল করার দিন নেই। নৌকায় ভোট দিয়ে বগুড়ার মানুষ কাক্সিক্ষত উন্নয়ন বুঝে নিন।

জনসভায় আওয়ামী লীগের আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, সাবিক উন্নয়ন চাইলে নৌকায় ভোট দিন। এর আগে বিএনপির এমপি থাকাকালীন সময় বগুড়া জনগণকে কিছুই দিয়ে যায়নি, তারা শুধু লুটপাট করেছে।

জনসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আবদুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু।