নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী প্রজন্ম যেন দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হয় : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
লাকসামে ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি ভার্সনের উদ্বোধন
কুমিল্লায় লাকসাম উপজেলার ৫টি সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় ও ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি ভার্সনের উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) লাকসাম রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ, গ্রাম হবে শহর, ডিজিটাল বাংলাদেশ একে অপরের পরিপূরক। ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। যে যত বেশি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারবে সে তত বেশি নিজেকে এগিয়ে নেবে। আগামীর বিশ্বে নেতৃত্বের জন্য বাংলা ভাষার সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আগামী প্রজন্ম যেন গর্বিত মানুষ হয়, দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হয়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান, লাকসাম উপজেলার চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ ভূইয়া, লাকসাম পৌরসভার মেয়র মো. আবুল খায়ের।
সমাজের কল্যাণে কাজ করার জন্য ইমামদের প্রতি আহ্বান : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সমাজের কল্যাণে ইমামদের কাজ করতে হবে। সমাজের অন্যায় অবিচার দূর করার জন্য আমাদের সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভা কার্যালয়ের মিলানায়তনে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নাশকতা নির্মূল ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় শীর্ষক ইমাম সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, মানবজাতির কল্যাণের জন্য নবীজি (স.) ইসলাম প্রচার করেছেন। উত্তম কর্ম দেখে মানুষ ইসলাম ধর্মে আসতেন, আমাদের এ বিষয় বিবেচনা করে চলতে হবে। আমরা কাজে কর্মে চলা ফেরায় উত্তম হলে অন্যরা আমাদের অনুসরণ করবে।
প্রধান অতিথি আরো উল্লেখ করেন, জোর জবরদস্তি করে ইসলাম কায়েম হয়নি, যুদ্ধ করে কখনো ইসলাম আসেনি। ইসলাম এসেছে উত্তম কাজের মাধ্যমে। শান্তির জন্য ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আমাদেরও শান্তি বজায় রেখে ইসলাম মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, ইসলাম ধর্ম সব ধর্মের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করতে বলেছে। সবাই মিলে সহ অবস্থানে থাকতে বলেছে। ইসলামি অনুশাসনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষা হবে।
ইমামদের সব সময় সচেষ্ট থাকতে হবে যেন ইসলামের নামে কেউ হঠকারী কিছু করতে না পারে। মুসলমানদের শিক্ষা-দীক্ষায় আরো অগ্রসর হতে হবে এবং বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। ইমামরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নাশকতার বিরুদ্ধে সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লাকসাম উপজেলার জাতীয় ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মো. জাকির হোসেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ ভূইয়া, লাকসাম পৌরসভার মেয়র মো. আবুল খায়ের।