আব্দুল বাছিত বাচ্চু, মৌলভীবাজার

  ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩

মৌলভীবাজারে কুষ্ঠ রোগী বেশি, প্রতি লাখে আক্রান্ত ৫

মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কুষ্ঠ রোগ বিষয়ে সচেতনতামূলক সভায় আলোচকরা। ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

মৌলভীবাজারে কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। জেলায় বর্তমানে ৬৬০ জন কুষ্ঠ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে ৩৭ শিশু রয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কুলাউড়া উপজেলা এবং সবচেয়ে কম রাজনগর উপজেলায়। মৌলভীবাজারে এক লাখ মানুষের মধ্যে পাঁচজনের বেশি এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ল্যাপ্রা বাংলাদেশ নামে একটি বিদেশি সংস্থা মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কুষ্ঠ রোগ বিষয়ে সচেতনতামূলক সভায় এ তথ্য জানানো হয়। মৌলভীবাজার জেলায় বর্তমানে ৬৬০জন কুষ্ঠ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে ৩৭ শিশু রয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কুলাউড়া উপজেলা এবং সবচেয়ে কম রাজনগর উপজেলায়।

সভায় জানানো হয়, দেশের নয়টি জেলায় এই রোগের প্রকোপ বেশি। এরমধ্যে মৌলভীবাজার হলো এক নম্বরে। এর মূল কারণ হলো এ জেলায় চা বাগান বেশি। এসব বাগানের অধিকাংশ লোকজন অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও অসচেতন। যার কারণে চা বাগানে এ রোগের প্রকোপ বেশি। রোগটি হাঁচি কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। রোগ নির্ণয়ে দেরি হওয়ার কারণ হলো রোগটি দেরিতে ধরা পড়ে।

মৌলভীবাজার জেলার সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদের সভাপতিত্বে এবং টমাছ দে টিটুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার বেলায়েত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়, জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান, ডা.পার্লী দাস প্রমুখ।

বিভিন্ন বিষয় প্রজেক্টরের মাধ্যমে অবগত করেন ল্যাপরা বাংলাদেশের এরিয়া ম্যানেজার মো. জিয়াউর রহমান।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এ রোগ নির্মূলে কাজ শুরু করেছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশও এই রোগ সম্পূর্ণ নির্মূলে কাজ শুরু করেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত আলোচকরা জানান, যেহেতু রোগটি হাঁচি কাশির মাধ্যমে ছড়ায় সেহেতু মাস্ক পরিধান করলে হয়তো এ রোগ থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

পিডিএস/এমএইউ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মৌলভীবাজার,কুষ্ঠ রোগী,কুলাউড়া উপজেলা,চা বাগান
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close