আইয়ুব হোসেন খাঁন, শ্রীপুর (মাগুরা)

  ২২ জানুয়ারি, ২০২৩

রঙিন ফুলকপি চাষে সাফল্য

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

মাগুরায় প্রথমবারের মতো রঙিন জাতের ফুলকপি চাষে সফল হয়েছেন সুশেন বালা ও দীপা বালা নামের দুই কৃষক। মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নের হাজরাতলা গ্রামে ৪০ শতক জমিতে সোনালি, বেগুনি, লাল, ব্রোকলি, কমলাসহ সাত রঙের ফুলকপি চাষ করেছেন তারা। রঙিন ফুলকপি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি খেতেও সুস্বাদু। পুষ্টিগুণে ভরপুর রঙিন জাতের এই ফুলকপিগুলোর দাম সাধারণ জাতের ফুলকপির চেয়ে চার গুণ বেশি। এই ফুলকপি দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় করছেন সুশেন বালা ও দীপা বালার খেতে।

কৃষক সুশেন বালা জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় তিনি ২০ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করেন। সাধারণ সাদা জাতের ফুলকপি বাজারে প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও তিনি এই ফুল কপি চার গুণ বেশি দামে কেজিতে বিক্রি করছেন। নতুন জাত ও দাম বেশি হওয়ায় আগামী মৌসুমে তিনি আরো বেশি জমিতে এই ফুলকপি চাষ করবেন বলে জানান।

কৃষাণি দীপা বালা জানান, শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে দেওয়া বীজ ও সার নিয়ে তিনি হাজরাতলা মাঠে ২০ শতক জমিতে সোনালি ও বেগুনিসহ বিভিন্ন রঙের নতুন জাতের এই ফুলকপি চাষ করেন। সাধারণ জাতের ফুলকপির মতো এর ফলনও ভালো হয়েছে।

কৃষক মৃনাল কান্তি জানান, সুশেন বালা ও দীপা বালা সাত রঙের কপি চাষ করেছেন। আমরা আশপাশের কৃষকরা তা দেখে উৎসাহিত হয়েছি। পরে আমরা এ কপি চাষ করব।

উপজেলা কৃষি উপসহকারী অলক কুমার বিশ্বাস জানান, কৃষি অফিসের মাধ্যমে এ মাঠে সাত রঙের কপি চাষ হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে আমরা সফল হয়েছি। আগামীতে এ কপি চাষ আরো বাড়বে বলে আশা করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে সুশেন বালা ও দীপা বালাকে আমরা রঙিন ফুলকপির বীজ, জৈব সার ও ফেরোমন ফাঁদ দিয়েছিলাম। উৎপাদন ভালো হওয়ায় উপজেলার অন্য কৃষকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। রঙিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ ও বাজারমূল্য অনেক বেশি। খেতেও সুস্বাদু। আশা করছি আগামীতে উপজেলায় রঙিন জাতের ফুলকপির চাষ আরো বাড়বে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নানা রঙের ফুলকপি,মাগুরা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close