মাসুম বিল্লাহ, শালিখা (মাগুরা)

  ০৬ ডিসেম্বর, ২০২২

শালিখায় মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌচাষিরা

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

মাগুরার শালিখায় কৃত্তিম উপায়ে মৌচাষ করে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌচাষিরা। সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধি সঙ্গে সঙ্গে মধু সংগ্রহ-পূর্বক বিক্রি করে তা থেকে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। সরেজমিনে উপজেলা আড়পাড়া, শতখালী, ধনেশ্বরগাতী, বুনাগাতীসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, আড়পাড়া ইউনিয়নের রামকান্তপুর, ধর্মসীমা, ধনেশ্বরগাতী ইউনিয়নের তিলখড়ি, ছান্দড়াসহ উপজেলার পাঁচটি স্পটে প্রায় ৪০০টি মৌবাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছেন তারা। উপজেলার যেসব জায়গায় সরিষার উৎপাদন বেশি হচ্ছে মূলত তার পাশেই মৌচাষিরা মৌবাক্স স্থাপন করছেন। দিনভর স্থাপিত বাক্সগুলো কখনো বন্ধ বা কখনো খোলা নিয়ে ব্যস্ত থাকছেন তারা। এমনই একজন মৌচাষি এনামুল ইসলাম। তিনি জানান, নিজ দেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে মৌমাছি সংগ্রহ করে তাদের ৬ মাস ধরে চিনি ও পানি খাওয়ায়ে বাকি ছয় মাস মধু সংগ্রহ করতে বিভিন্ন সরিষা জমির পাশে মৌবাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করেন তারা।

মৌচাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, কৃত্রিম উপায়ে মৌচাষ করে সপ্তাহে ৪ মণ করে ছয় মাসে ৭২ মণ মধু সংগ্রহ করা হয়, যা কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা বিক্রি করা হয়। তিনি আরো বলেন, যেসব এলাকায় মৌবাক্স স্থাপন করা হয়, সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী তিন কিলোমিটার এলাকার মধ্য থেকে মৌগুলো মধু সংগ্রহ করে। কৃত্রিম উপায়ে মৌচাষ করে মধু সংগ্রহপূর্বক বিক্রি করে শালিখা উপজেলার বেকার ছেলেরা একদিকে যেমন অর্থ উপার্জন করছে, অন্যদিকে সরিষার ফলন বৃদ্ধিতে পরিপূরক ভূমিকা পালন করছেন বলে মনে করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলমগীর হোসেন জানান, মৌগুলো যখন সরিষার সংস্পর্শে আসে তখন সরিষার পরাগায়ণ ঘটে, এতে সরিষার ফলনের পরিমাণ ১৫-২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই কৃত্রিম উপায়ে মৌচাষকে, সরিষার ফলন বৃদ্ধি ও অর্থ উপার্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ বলে মনে করেন তিনি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মধু
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close