তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বিনা নোটিশে উচ্ছেদ, ধর্মঘটে ব্যবসায়ীরা

বরগুনার তালতলীতে নোটিশ ছাড়াই ১৪৭ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রশাসন গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা সাপ্তাহিক বাজার, দোকানপাট ও পায়রা নদীতে খেয়া চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে উপজেলার ছোটবগী বাজারে ধর্মঘট পালন করা হয়।
একইদিন বিকেলে পুনর্বাসনের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন ব্যবসায়ীরা। খেয়া চলাচল বন্ধ ও সড়ক অবরোধ করে রাখায় দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। পুনর্বাসন না করা পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের তালতলী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ছোটবগী বাজার। প্রতি শুক্রবার এখানে হাট বসে। দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম গরু ও ধানের বাজার বসে এখানে। এ বাজার থেকে সরকার প্রতি বছর কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে। ৫০ বছর আগে বাজার সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপরে ব্যবসায়ীরা ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছেন। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে নোটিশ ছাড়াই বরগুনা ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন ১৪৭ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেয়ায় ওই বাজারের ১৪৭ ব্যবসায়ী মালামাল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
ছোটবগী বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন সিকদার বলেন, নোটিশ ছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করা না হবে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ছোটবগী বাজার ইজারাদার মজিবুর রহমান বিশ্বাস বলেন, ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাপ্তাহিক বাজার বসানো হয়নি। স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য এ বাজারে আর কখনোই তেমন হাট মিলবে না। যদি পুনর্বাসন করা হয় তাহলে কিছুটা সম্ভব।
তালতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সাপ্তাহিক হাট বসেনি, দোকানপাট ও খেয়া চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়ক অবরোধ করে রাখেন ব্যবসায়ীরা।
জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সরকারের সাধ্যের মধ্যে রেখে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।