আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ০১ ডিসেম্বর, ২০২২

স্ত্রী-পুত্রের সন্ধান চান দুলাল মিয়া  

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

দুলাল মিয়া ও শারমিন আক্তারের দীর্ঘ ৯ বছরের সংসার। তাদের দাম্পত্য জীবনের এক পর্যায়ে কোল আলো করে আসে পুত্র সন্তান ঈসা। হঠাৎ একদিন কাজ শেষে দুলাল মিয়া ঘরে ফিরে দেখেন স্ত্রী ও শিশু সন্তান নেই। তাদের ব্যবহৃত জামা কাপড় ও গহনা, এমনকি কষ্টে উপার্জিত জমানো নগদ টাকাও নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাদের কোন সন্ধান না পেয়ে তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, ৯ বছর আগে (২০১৩ সালে) বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চন্দ্রা গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের হাওলাদারের পুত্র মো. দুলাল মিয়ার সাথে পারিবারিকভাবে পার্শ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের শুহুরী ব্রীজ এলাকার শানু গাজীর কন্যা শারমিন আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ে করেই দুলাল তার স্ত্রী শারমিন আক্তারকে নিয়ে নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লাথানার আলীগঞ্জে সেলিম মাস্টারের বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। দুলাল রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। ভালোই চলছিল সংসার। বিয়ের সাড়ে ৪ বছর পরে তাদের কোলজুড়ে আসে একমাত্র পুত্র সন্তান মো. ঈসা (৩ বছর ৬ মাস)। গত ২৩ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দুলালের স্ত্রী শারমিন আক্তার তার শিশু পুত্রকে সাথে নিয়ে বাপের বাড়ি গলাচিপা যাওয়ার কথা বলে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। ওই দিন স্বামী দুলাল কাজ থেকে বাড়ি ফিরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার স্ত্রীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিয়ে জানার চেষ্টা করেন সে তার বাপের বাড়িতে ঠিকঠাকভাবে পৌঁছাইছে কিনা? স্ত্রীর ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ পেয়ে দুলাল তার শ্বশুর শানু গাজীর মুঠোফোনে কল দিয়ে জানতে পারেন শারমিন আক্তার সেখানে যায়নি। এরপর বাসার আলমিরা খুলে দেখেন জমানো নগদ ১০ হাজার টাকা, ১ ভরি স্বর্ণের গহনা, স্ত্রী এবং শিশু পুত্রের ব্যবহৃত সকল কাপড় চোপড় সাথে নিয়ে গেছে। ওই দিন থেকে দুলাল সকল আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে খুঁজতে থাকেন। না পেয়ে ২৫ নভেম্বর ফতুল্লা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

দুলাল মিয়া বলেন, আমার স্ত্রী (শারমিন আক্তার) বাপের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে আমার একমাত্র শিশু পুত্রকে সাথে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। আজও ফিরে আসেনি। যাওয়ার সময় আমার ঘরের আলমিরার মধ্যে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও কাপড় চোপড় নিয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, আমার স্ত্রী একমাত্র সন্তানকে নিয়ে কোথায় আছে, না কেহ তাকে ফুঁসলিয়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে গেছে, না কারো সাথে গোপনে সম্পর্ক করে তার হাত ধরে চলে গেছে, তা আমি জানিনা। আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানকে অনেক ভালোবাসি। আমার স্ত্রী ও শিশু পুত্রের সন্ধান জানতে এবং তাদের ফিরে পেতে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য কামনা করছি।

দুলালের শ্বাশুড়ী খাদিজা বেগম বলেন, মোর মাইয়া স্বামীর বাসায়গোনে মোগো বাড়িতে বেড়াইতে আওয়ার কতা কইয়্যা আর আয় নাই। না কইয়া কুইম্মে বোলে গেছে। এ্যাহোনো পাই নাই। এ্যাহন মোরা হগুলডি মিল্যা খোঁজতেছি।

ফতুল্লাথানার সাব ইন্সেপেক্টর মো. কামাল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ওই ঘটনায় দুলাল মিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তদন্ত চলমান আছে। নিখোঁজ স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
স্ত্রী-পুত্র,সন্ধান চান,দুলাল মিয়া
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close