সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
সোনারগাঁয়ের মধু ঠাকুরের বাড়ি সংরক্ষণের দাবি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রাচীন নিদর্শন মধু ঠাকুরের বাড়ি সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং বৈদ্যের বাজার এনএএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর গণস্বাক্ষরসহ একটি স্মারকলিপি দিয়েছে স্থানীয়রা। বৈদ্যের বাজার ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন বাবুর নেতৃত্বে ওই স্মারকলিপিতে তিনশতাধিক মানুষের স্বাক্ষর রয়েছে।
বৈদ্যের বাজার এনএএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মধু ঠাকুরের বাড়িটি ছিল ভাওয়াল রাজা রমেন্দ্র নারায়ণ রায়ের শশুর বিষ্ণুপদ ব্যানার্জীর। রমেন্দ্র নারায়ণ রায় বিয়ে করেন বিষ্ণুপদ ব্যানার্জীর মেয়ে বিভাবতী ব্যানার্জীকে। ওই সময় আট একর চল্লিশ শতাংশ জায়গা নিয়ে গড়ে উঠা বাড়িটিতে বসবাস করতেন বিষ্ণুপদ ব্যানার্জীর পরিবার। দেশ ভাগের পর তারা ঘরবাড়ি ফেলে চলে যান। তাদের সম্পত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয় বৈদ্যেরবাজার এনএএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং হাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। হাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় ওই বসত বাড়ির সামনের অংশের তিনটি কক্ষ বিদ্যালয় পরিচালনা কাজে সরকারিভাবে হস্তান্তর করা হয়। যা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অনলাইন তথ্য কনিকাতে ভবন নং ০১ হিসেবে অর্ন্তভূক্ত রয়েছে।
এখনও স্থানীয়দের কাছে মধু ঠাকুরের বাড়ি নামেই পরিচিত। চতুর্ভূজ একতলা আকৃতির বাড়িটির জৌলুস ও সৌন্দর্য এখনও আঁচ করা যায়। বাড়িটির ভেতর বাইরে যাওয়ার সুন্দর রাস্তা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সোনারগাঁর ইতিহাস, ঐতিহ্যের অনেক প্রাচীন নিদর্শন হারিয়ে যেতে বসেছে। যা আমাদের পরবর্তী প্রজম্মের জন্য সংরক্ষণ জরুরি। তারা ভাওয়াল রাজা রমেন্দ্র নারায়নের শশুরবাড়ি ও বিষ্ণুপদ ব্যানার্জীর কন্যা রানী বিভাবতীর স্মৃতি বিজরিত বাড়িটি সংরক্ষণের দাবি জানান।
পিডিএসও/এমএ