reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ৩০ নভেম্বর, ২০২২

স্টেট ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী 

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ভবিষ্যতের রূপকল্পের বাংলাদেশ গড়তে হলে ঔপনিবেশিক আমল থেকে চলা মুখস্থনির্ভর আর পরীক্ষায় উগড়ে দেয়া শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে চলবে না। বরং শিক্ষাকে আনন্দময় করতে হবে। সমস্যা সমাধানে দক্ষতা বাড়াতে হবে। আত্মশক্তিতে বলীয়ান হতে হবে।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি)-এর ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপু মনি এসব কথা বলেন।

রূপগঞ্জের কাঞ্চনে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে এই সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সম্মতিতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এবং স্নাতকদের সনদ বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে দীপু মনি বলেন, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে। উচ্চ শিক্ষার জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ এক্রেডিশেন কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। ন্যাশনাল ব্লেন্ডেড এডুকেশন মাস্টার প্লান চূড়ান্তকরণের পর্যায়ে রয়েছে। অবকাঠামোর পাশাপাশি শিক্ষায় প্রযুক্তির মেলবন্ধন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের অবকাঠামোর উন্নয়ন করেছি তার সঙ্গে প্রযুক্তির যে মেলবন্ধন ঘটাতে হবে সেই লক্ষে আমরা কাজ করছি। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। চতুর্থ সম্ভবনার দার আমাদের উন্মুক্ত। সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ না প্রযুক্তি তৈরিতে দক্ষ হতে হবে।

'সেই হিসেবে আমাদের শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা খেলতে খেলতে কোডিং শিখতে পারে সে ব্যবস্থা করছি। যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সফল হয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যখন গড়ে উঠে তখন অনিশ্চয়তা ছিলো এর উদ্দেশ্য নিয়ে, লক্ষ্য নিয়ে। সময়ের ব্যবধানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তা প্রমাণ করতে পেরেছে।'

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের সমাজে আমরা একজন কৃষক বা শ্রমিককে বুদ্ধিজীবী বলি না, বলার কথা ভাবতেই পারি না, কারণ তাদের কায়িক পরিশ্রম সমাজ-নির্দিষ্ট বুদ্ধিজীবিতার সংজ্ঞায় পড়ে না। কিন্তু তারা যদি তাদের বুদ্ধি খাটিয়ে ক্রমাগত খাদ্য এবং বস্তুসামগ্রী উৎপাদন করে না যেতেন, এই দেশটির বেঁচে থাকাই অসম্ভব হত। কোভিডে বিপর্যস্ত ইউরোপে ঘটতে থাকা এক অবাস্তব যুদ্ধের অভিঘাতে দিশেহারা এই সময়ে বিদেশের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার মোকাবেলা করার জন্য এখন দেখতে পাচ্ছি সবাই কৃষকদের, শ্রমিকদের এবং কৃষকদের যেসব সন্তান বিদেশে অমানুষিক কায়িক পরিশ্রম করে বিদেশি মুদ্রা পাঠায়, তাদের দিকে তাকিয়ে আছেন।

২০০২ সালে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি) প্রতিষ্ঠিত হয়। এবারের ৬ষ্ঠ সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি অনুষদের মোট এক হাজার ৮২৫ জন ছাত্র-ছাত্রীকে সনদ প্রদান করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শীতা ও ফলাফল অর্জনকারী মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। এর মধ্যে চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেলী আক্তার সেতু, জার্নালিজম, কমিউনিকেশন এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জাহাঙ্গির আলম এবং কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ খান। এছাড়া ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন সাত জন এবং ডীনস্ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ৫৫ জন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আনোয়ারুল কবির। সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ডাক্তার এ এম শামীম।

পিডিএসও/এমএ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
শিক্ষামন্ত্রী,শিক্ষা ব্যবস্থায়,আমূল পরিবর্তন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close