খুলনা ব্যুরো

  ২৯ নভেম্বর, ২০২২

খুলনা বারে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের বিজয়

খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ। নির্বাচনে ১৪টি পদেই তারা জয় পেয়েছেন। শনিবার নির্বাচনী আচারণবিধি ভঙ্গের অভিযোগের কোনো প্রতিকার না পেয়ে সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সদস্যরা নির্বাচন বর্জন করেন। তারপরও ওই পরিষদের সদস্যরা নির্বাচনে ভোট পেয়েছেন। এ নির্বাচনে ভোটের প্রাপ্ত ফলাফলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের নেতারা।

জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন পরিষদের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত ফলাফলে জানা গেছে, সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম ১০৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অপর প্রার্থী অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার খোকন পেয়েছেন ৭২ ভোট। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ৯৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তারিক মাহমুদ তারা। অপর প্রার্থী অ্যাডভোকেট এ কে এম শহিদুল আলম শহিদ পেয়েছেন ৯২ ভোট।

বিজয়ী অন্যরা হলেন সহসভাপতি এ কে এম মিজানুর রহমান (৯৬৫ ভোট) ও শিরিন আক্তার পপি (৯৫৪), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তমাল কান্তি ঘোষ (৯৮৫), লাইব্রেরি সম্পাদক কাজী সাইফুল ইমরান (৯২৯), সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান গাজী মিল্টন (৯৮১) এবং সদস্য পদে ওমর ফারুক রনি (১০১১), সরদার আশরাফুর হমান দিপু (৯৬২), এস এম আবদুস সাত্তার (৯৫৭), প্রজেশ রায় (৯২৮), মো. মনিনুর ইসলাম মনির (৯১২), সাবিরা সুলতানা হ্যাপি (৯০২), খাদিজা আক্তার টুলু (৮৫৮) ভোট।

কমিশনের দেয়া তথ্যানুযায়ী নির্বাচনে ১ হাজার ৩৮৭ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেন ১ হাজার ১৮৪ জন। রবিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।

নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন মোল্লা লিয়াকত আলী এবং সদস্য হিসেবে মো. আহাদুজ্জামান ও নিমাই চন্দ্র রায়।

এদিকে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ভোট বর্জন, ভোটকেন্দ্রে না গেলেও নির্বাচন কমিশন দ্বারা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে সর্বোচ্চ ভোট প্রয়োগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন খুলনা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের নেতারা।

তারা বলেছেন এক তরফা ভোটের ফল কারচুপি করে সর্বোচ্চ ১১৮৪ ভোট প্রয়োগ দেখিয়ে তথাকথিত নির্বাচন কমিশন বেহায়াপনার রেকর্ড গড়েছেন।

রবিবার (২৭ নভেম্বর) প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ভোটকেন্দ্রের মধ্যে বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থাকতে পারবেন না বলে দাবি জানালেও কমিশন সে দাবির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন। বাধ্য হয়ে ৩ সদস্যের কমিশন থেকে এক সদস্য পদত্যাগ করেছেন। একইভাবে আইনজীবী ঐক্য পরিষদ মনোনীত সভাপতি প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জোয়াদ্দার খোকন ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এ কে এম শহিদুল আলমসহ পরিষদের সব প্রার্থী লিখিতভাবে নির্বাচন বর্জন করেন। কিন্তু একতরফা নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট প্রয়োগ দেখানো শুধু লজ্জাজনকই না, খুলনা আইনজীবী সমিতির বিগত নির্বাচনী ঐতিহ্যে কলঙ্কের কালিমা লেপনের শামিল। আইন পেশার মতো একটি মহৎ পেশার প্রতিনিধি নির্বাচনে এ ঘটনা জনমনে নানা প্রশ্নে জন্ম দিয়েছে। খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির ১৪০ বছরের ইতিহাসে কোনো প্যানেলের সব সদস্য বর্জনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। নেতারা অবিলম্বে হাস্যকর নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিদাতারা হলেন সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সিনিয়র কো-কনভেনর অ্যাডভোকেট গাজী আবদুল বারী, কো-কনভেনর অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান লাবু, কো-কনভেনর অ্যাডভোকেট আক্তার জাহান রুকু, কো-কনভেনর অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ হোসেন রনি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি যথাক্রমে অ্যাডভোকেট নরুল হাসান রুবা, অ্যাডভোকেট বজলার রহমান, অ্যাডভোকেট এস আর ফরুক, অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক, অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ হোসেন বাচ্চু, অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস, অ্যাডভোকেট শেখ আবদুল আজিজ, আইনজীবী সমিতির সাবেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে অ্যাডভোকেট মাসুম রশিদ, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান নান্নু।

আরো নিন্দা জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষার, অ্যাডভোকেট কনিজ ফাতেমা আমিন, অ্যাডভোকেট তছলিমা খাতুন ছন্দা, জাতীয়তাবাদী হিন্দু আইনজীবী ঐক্য পরিষদেও সভাপতি অ্যাডভোকেট সত্যগোপাল ঘোষ, অ্যাডভোকেট জয়দেব সরকার, অ্যাডভোকেট মঞ্জুর আহমেদ, অ্যাডভোকেট চৌধুরী আবদুস সবুর, অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান জনি প্রমুখ।

পিডিএস/মীর

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ,খুলনা বার
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close