খালেদ রায়হান, চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম)

  ২৩ নভেম্বর, ২০২২

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বিলুপ্ত হ্যাজাক লাইট

ছবি : সংগৃহীত

রাতের উজ্জ্বল আলোর জন্য সবচেয়ে ভালো উৎসের নাম ছিল ‘হ্যাজাক লাইট’। সেটি আজ অন্ধকারে, নতুন প্রজন্মের কাছে অচেনা, নাম না-জানা অপরিচিত বস্তু। শুধু তাই নয়, হ্যাজাক লাইট ভাড়া দেওয়া আর মেরামত করার জমজমাট ব্যবসাও বিলুপ্ত।

জানা যায়, ১৯১০ সালে জার্মানের ম্যাক্স গ্রেটেজ হ্যাজাক বাতির আবিষ্কার করেন, পিতল বা সিলভার দ্বারা তৈরি ওই বাতি কেরোসিন বা ডিজেল ব্যবহার করে দিয়াশলাইয়ের আগুন লাগানোর পর বায়ুর চাপের সাহায্যে উজ্জ্বল আলো ছড়ায় এ বাতি।

চন্দনাইশের প্রবীণ ব্যক্তি আবুল হোসেন ও আফছার মিয়া বলেন, বিয়ে-মেজবানে দোকান থেকে ভাড়ায় এনে জ্বালাতাম, হাট-বাজারে দোকানিরা জ্বালাত, কত সুন্দর আলো দিত! এখন আর কোথাও এ বাতি চোখে পড়ে না।

একসময় হ্যাজাক লাইট ভাড়া দেওয়া ও মেরামত করার কাজে জড়িত থাকা মো. ইসমাইল বলেন, এ পেশার ভবিষ্যৎ না থাকাতে অনেকটা বাধ্য হয়েই ছেড়েছি, নিজের ছেলেকেও অন্য পেশায় দিয়েছি।

এলাকায় বিদ্যুতায়ন, দুর্গম এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপন, আইপিএস, জেনারেটর এবং চার্জার বাতির কারণে বিলুপ্ত হ্যাজাক লাইট। একসময়ের রাজকীয় হ্যাজাক লাইট আজ কোথাও আলো ছড়ায় না, নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের অংশ হয়েই আছে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চট্টগ্রাম,চন্দনাইশ,হ্যাজাক লাইট
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close