ফরিদপুর ও সদরপুর প্রতিনিধি
সদরপুরে বাজার দখল নিয়ে সংঘর্ষ
দুই চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল যুবকের
ফরিদপুরের সদরপুরে বাজার দখল নিয়ে সংঘর্ষে জালাল ফকির (৪০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এতে একজনের কব্জি বিচ্ছিন্নসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) উপজেলার কৃষ্টপুর ইউনিয়নের হাটকৃষ্ণপুর বাজার নিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। জালাল ফকির উপজেলার নিজ গ্রামের শুকুর ফকিরের ছেলে এবং কৃষ্টপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান তিতাসের সমর্থক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে হাটকৃষ্ণপুর বাজারের দখল নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন ফকিরের গ্রুপের সঙ্গে বর্তমান চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান তিতাসের গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জেরে বুধবার দুপুরে সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থক গিয়াসউদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হাতের কব্জি কেটে নেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে গিয়াসউদ্দিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিকালে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষের সময় বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
পরে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে পুনঃরায় উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় জালাল ফকির নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এছাড়াও আহত হন অন্তত ১০ জন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে জালাল ফকির মারা যান।
এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন ফকির বলেন, সংঘর্ষের সময় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান তিতাসের সমর্থকরা গিয়াসউদ্দিন তালুকদারের হাতের কব্জি কেটে নেয়।
ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান তিতাস অভিযোগ করে বলেন, বিরোধীপক্ষের লোকজন আমার সমর্থকদের ওপর হামলা ও বেশ কিছু বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই হাটকৃষ্ণপুর বাজার থেকে যে চাঁদা তোলা হতো তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেই। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে চাঁদা তুলতে বাধা দিলেই সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় জালাল ফকিরকে সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন মেরে ফেলেছে।
সদরপুর থানার ওসি সুব্রত গোলদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি।