পঞ্চগড়ে স্বল্পমেয়াদি বিনা ধান ১৭ কর্তন উপলক্ষে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের খারুয়া গ্রামে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামাল হোসেন সরকার। কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আইবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হরি নারায়ণ রায়। অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আরডিআরএস বাংলাদেশের কৃষি কর্মকর্তা রবিউল আলম, ঊর্ধ্বতন সামাজিক কর্মকর্তা সুবর্না সাহা, কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন ফেডারেশনের সাধারণ সদস্য ও এলাকার ধান চাষিরা।

মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি আমন মৌসুমে বর্তমানে পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে সহনশীল স্বল্পমেয়াদি বিনা ধান-১৭ এর উপযোগিতার বিষয়ে আলোকপাত করে বলেন, বিনা ধান-১৭ উচ্চ ফলনশীল, খরাসহিষ্ণু স্বল্পমেয়াদি আমন ধানের জাত। তাই দেশের উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে পঞ্চগড় জেলায় এ ধানের সম্ভাবনা আরো বেশি এবং স্বল্পমেয়াদি হওয়ায় এ ধান কাটার পর কৃষকরা সহজেই আগাম সরিষা, আলু ও অন্যান্য রবিশস্য চাষ করে অধিক লাভবান হতে পারবেন। এ ছাড়াও তিনি মাঝারি উঁচু জমিতে বিনা ধান-১৭ চাষের উপর জোর দিয়ে বলেন, এ ধান আগাম পাকে। রোগবালাই ও পোকার আক্রমণ কম হয় এবং কৃষকরা একটু যতœশীল হলে এর ফলনও ভালো হয়। তাই তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর লক্ষ্যে বিনা ধান-১৭ জাতের ধান চাষ বৃদ্ধির জন্য উপস্থিত সবাইকে আহ্বান জানান। পরবর্তী সময়ে প্রদর্শনী প্লটের কৃষক জাহিদুল ইসলামের ২০ বর্গমিটার জমির ধান কর্তন করা হয় এবং মাড়াইয়ের পর ফলন পরীক্ষা করা হয়। বিনা ধান-১৭ এর ফলন ১৪ শতাংশ আর্দ্রতায় প্রতি হেক্টরে ৩ দশমিক ৩২ টন পরিমাপ করা হয়।