ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

  ১৫ অক্টোবর, ২০২২

সফল নারী উদ্যোক্তা মাহমুদা

ময়মনসিংহ সিটি মেয়রের কাছ থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন মাহমুদা আক্তার রানু

পিছিয়ে পড়া সমাজের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন গ্রামীণ নারী মাহমুদা আক্তার রানু। এর আগে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে চাকরির পেছনে ছুটছেন তিনি। ঠিক সেই মুহূর্তে বিশ্বে দেখা দেয় মহামারি করোনাভাইরাস। হঠাৎ করোনাভাইরাসের ছোবল মাহমুদার হতাশা বাড়িয়ে দেয়। তাই চাকরির চিন্তা বাদ দিয়ে নতুন কিছু করার পরিকল্পনা করা শুরু করেন। করোনায় যখন পুরো বিশ্ব স্থবির এমন সময় এক বন্ধুর সহায়তায় অনলাইন প্ল্যাটফরম ওমেন্স অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামে যুক্ত হন তিনি। শুরু হয় চ্যালেঞ্জিং পথচলা। দেশীয় পণ্য টাঙ্গাইলের শাড়ি, দেশীয় থ্রি-পিস নিয়ে কাজ করেন। শুরুতে মুখোমুখি হতে হয় নানা সমালোচনা। এমনকি নিজের পরিবার থেকেও শুনতে হয়েছে কটূ কথা। কিন্তু অদম্য ইচ্ছায় তিনি এগিয়ে যান আপন গতিতে। নানা প্রতিবন্ধকতা জয় করে অবশেষে সফলতা আসে।

বর্তমানে নিজের উদ্যোগে ময়মনসিংহ অঞ্চলের আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক দকমান্দা নিয়ে কাজ শুরু করেন। যেটি ময়মনসিংহের ব্র্যান্ডিং পণ্য হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। প্রথমে আশানুরূপ ফল না পেলেও পরবর্তী সময়ে নিজের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং ধৈর্যের সঙ্গে জয় করেছেন প্রতিবন্ধকতা। নাম লিখিয়েছেন লাখপতির খাতায়। এমন সফলতায় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটুর কাছ থেকে ‘লাখপতি’ স্বীকৃতিও পেয়েছেন মাহমুদা আক্তার রানু। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে উই-এর পক্ষ থেকে ডেডিকেটেড নারী উদ্যোক্তা হিসেবে গ্রান্ট পেয়েছেন। এখন আর নেই সেই সমালোচনা। নিজের কর্ম দিয়ে সব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন।

মাহমুদা আক্তার রানু বলেন, অনেক সমালোচনা মোকাবিলা করে সফল হয়েছি। বর্তমানে উই-এর ময়মনসিংহ জেলাসহ প্রতিনিধির দায়িত্বে আছি। এখন সবাই সাপোর্ট করে। মাহমুদা আক্তারের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার লাঙ্গলজোড়া গ্রামে। গ্রামীণ পরিবার থেকে বেড়ে ওঠা এই নারী স্কুল ও কলেজ জীবনের পড়াশোনা করেন ধোবাউড়ায়। পরবর্তী সময়ে ময়মনসিংহ আনন্দমোহন সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ধোবাউড়া,নারী উদ্যোক্তা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close