টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
দুই দশক পর কোনাবাড়ি আ’লীগের সম্মেলন শনিবার
দুই দশক পর গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন কাল (শনিবার)। ইতোমধ্যেই কোনাবাড়ী সরকারি কলেজ মাঠ ছেড়ে গেছে ব্যানার-ফেস্টুনে। সম্মেলন ঘিরে যেমন দলের নেতাকর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে, তেমনি ত্যাগী নেতারা দলীয় পদ পেতে আগ্রহী।
অপরদিকে বহিরাগতরা অতিথি পাখির মতো দলীয় পদ বাগিয়ে নিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এ সম্মেলন ঘিরে প্রার্থীদের মধ্যেও ব্যর্থতা-সফলতাসহ ব্যক্তিগত ইমেজ তুলে ধরার প্রতিযোগিতা চলছে। সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসছেন সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থীদের নাম।
ইতোমধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান মাস্টার ও খলিলুর রহমানের নারী কেলেঙ্কারির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিশেষ করে কোনাবাড়ীতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আপত্তিকর এ ভিডিও নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ফেসবুক ছাড়াও বিভিন্ন বাজার, চায়ের দোকান ও উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনা ঝড় চলছে।
জানা গেছে, এর আগেও আব্দুর রহমান শিক্ষকতা করাকালীন এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে বরখাস্ত হয়েছিলেন। পরে ২০১২ সালে কোনাবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী সভায় বর্তমান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সামনে নারীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রকাশ্যে জুতাপেটাও করা হয় তাকে।
তবে আবদুর রহমান মাস্টার দাবি করেন, একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটা নিজের বলে স্বীকার করে খলিলুর রহমান জানান, ভিডিওটা পুরোনো। আসন্ন কোনাবাড়ী সম্মেলনকে ঘিরে একটি পক্ষ তাকে পদবঞ্চিত করতে এগুলো আবার নতুন করে প্রচার করছেন।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আজমত উল্লা খান বলেন, অশ্লীল এ ভিডিওগুলো কারা, কী উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়াল এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে। আর দলীয় ফোরামে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাদের দুজনের বিরুদ্ধে।