সিরাজুল ইসলাম আপন, ভাঙ্গুড়া (পাবনা)
কাজে আসছে না এলজিইডির ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফুট ব্রিজ
ব্রিজ আছে, রাস্তা নেই। ব্রিজে জমেছে শ্যাওলা। বিভিন্ন আগাছা বড় হয়ে ব্রিজের চার পাশ ভরে গেছে। বিভিন্ন সময় ব্রিজটি ব্যবহার হয় ধান শুকানোর কাজে। এভাবে কেটেছে প্রায় ২০টি বছর। এমন চিত্র দেখা গেছে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার নৌবাড়িয়া গ্রামের পেছনের একটি ফুট ব্রিজে। সংযোগ সড়ক না থাকায় এলজিইডির ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওই ব্রিজটি জনগণের কোনো উপকারেই আসেনি।
জানা গেছে, ব্রিজের উত্তর পাশে ওয়াপদার পাকা সড়ক এবং দক্ষিণ পাশে এলজিইডির সাবেক হিসাব রক্ষক মাহমুদ আলীর গ্রামের বাড়ি। এই বাড়িটির উত্তর পাশে আছে গুমানি নামে আরেকটি ব্রিজ। প্রায় ২০ বছর আগে ফুট ব্রিজটি নির্মাণের সময় মাহমুদ আলীর বাড়ির পাশ দিয়ে গুমানি ব্রিজ থেকে ওয়াপদা বাঁধ সংযোগ রাস্তা দেয়ার প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে সরু সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে চলনবিলের প্রায় ২০টি গ্রামের অধিবাসী নৌবাড়িয়ার গুমানি ব্রিজ থেকে নেমেই ওই ফুট ব্রিজ দিয়ে ওয়াপদার পাকা রাস্তায় উঠতে পারতো। কিন্তু মাহমুদ আলী তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে সংযোগ রাস্তা না দেয়ায় এখন জনসাধারণকে প্রায় ৩ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে। ফলে এলজিইডির ৩৫ লাখ টাকাই এখানে অপচয় করা হয়েছে। অথচ গুমানি ব্রিজ থেকে ফুট ব্রিজের দূরত্ব মাত্র ৩০০ ফুট, যার সুবিধা কেবল মাহমুদ আলীর পরিবারই ভোগ করছে।
ছোট বিশাকোল গ্রামের আব্দুল মজিদ ও সাত্তার আলীসহ একাধিক এলাকাবাসী বলেন, অবিলম্বে ফুট ব্রিজের সংযোগ রাস্তাটি ব্যবহার উপযোগী করে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি। এটা হলে জনসাধারণ সহজে এই পথে চলাচল করতে পারবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মোছা. আফরোজা খাতুন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।