টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
টঙ্গীতে কারখানার সেই লাশ শনাক্ত, বিক্ষোভ ও ভাংচুর

গাজীপুরের টঙ্গীতে হাতিম প্লাষ্টিক কারখানা থেকে উদ্ধার হওয়া রক্তাক্ত সেই মরদেহর পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে নিহতের স্বজনরা থানায় হাজির হয়ে সেই লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে। নিহত যুবক ভোলা জেলার কাছিয়া গ্রামের মৃত মহসিন মিয়ার ছেলে নাহিদ (১৯)। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো.শাহীন বাদী হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে টঙ্গী পূর্ব থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরে মঙ্গলবার রাতে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ।
এদিকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহতের খুনিদের বিচারের দাবিতে টঙ্গী-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে এ বিক্ষোভ করেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। এসময় বিক্ষুব্ধরা হাতিম প্লাষ্টিক কারখানা ভাংচুর চালায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের ধাওয়া দিলে সড়কে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় তারা। পরে স্বজনদের ডেকে এনে মরদেহ দাফনের জন্য বলা হলে মৃতের ভাই মরদেহ নিয়ে যান। হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় বুধবার সকালে টঙ্গী পূর্ব থানায় হাতিম প্লাস্টিক কারখানার কর্তৃপক্ষ একটি মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার সকালে হাতিম প্লাস্টিক কারখানার অজ্ঞাত যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দিনভর তার পরিচয় নিশ্চিত না হওয়া গেলেও মঙ্গলবার বিকেলে ওই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়।
হাতিম প্লাষ্টিক কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মো.পলাশ বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়ায় মরদেহ দাফনের জন্য দিয়েছে। নাহিদের পরিবারের লোকজনসহ শতাধিক এলাকাবাসি আমাদের কারখানায় ভাংচুর চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। আমরা মামলা দায়ের করেছি।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো.আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে থানায় আনা হয়েছে। অপরদিকে কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ জনকে থানায় আনা হয়েছে।