নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৪ অক্টোবর, ২০২২

আটা-ময়দায় রং মিশিয়ে প্রসাধনী  

ছবি : সংগৃহীত

আটা, ময়দা ও ভাতের মাড়ের সঙ্গে সুগন্ধি রং মিশিয়ে তৈরি করা হতো নানা ধরনের প্রসাধনী। এরপর সেগুলোতে বিদেশি বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের লেবেল লাগাত। তারপর সরবরাহ করা হতো রাজধানীর নামিদামি বিভিন্ন বিপণিবিতান ও সেলুনগুলোয়।

ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের একটি বাড়িতে কারখানা বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এমন নকল প্রসাধনী বানিয়ে আসছিল একটি চক্র। সোমবার (৩ অক্টোবর) অভিযান চালিয়ে কারখানার ভেজাল মালামাল জব্দ ও এ কাজে জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের গোয়েন্দা শাখা উপকমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার সাতজন হলেন কারখানার মালিক মো. জাহিদ খান ওরফে বাদশা (২০), কর্মচারী মো. আরিফ হোসেন (২২), মো. নাজিম উদ্দিন ওরফে বিপ্লব (১৮), মো. রবিউল হোসেন ওরফে রবিন (২৬), মো. মারুফ হোসেন (১৬), মো. জামাল হোসেন (৩০) ও মো. হারুন (২৮)।

এ সময় কারখানায় বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল, ফিনিশড নকল বিদেশি হেয়ার অয়েল, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বডিলোশন, হেয়ার কালার, হেয়ার অয়েল, হেয়ার স্পা, ফেসওয়াশ, বিভিন্ন ধরনের ক্রিম এবং বার কোড, কিউআর কোডসহ প্রিন্টেড বিভিন্ন ব্র্যান্ডে প্রসাধনীর বাক্স, টিউব ও বোতল জব্দ করা হয়।

মশিউর রহমান বলেন, সবুজ, কালাম ও বাদশা কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দা। এই তিন ভাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মচারীদের এখানে নিয়ে আসেন। তাদের প্রধান কেমিস্ট, সহকারী কেমিস্ট এবং শ্রমিক হিসেবে নিজেদের কারখানায় নিয়োগ দেন। স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত বিভিন্ন আঠা, আটা, ময়দা, পাউডার, কেমিক্যাল, পানি, ভাতের মাড় ও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী ইত্যাদির সঙ্গে রং মিশিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, কোরিয়া ও থাইল্যান্ডের নামিদামি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের তেল, ফেসওয়াশ, ত্বক ফরসাকারী ক্রিম, লোশন, ক্রিম ও শ্যাম্পু তৈরি করে চকবাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন সুপারশপে বিক্রি করে আসছিল চক্রটি। তাদের এ কাজে সহযোগিতা করতেন চকবাজারের বিভিন্ন পাইকারি দোকানিরা।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
প্রসাধনী
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close