ভোলা প্রতিনিধি
মনপুরায় জ্বর-চোখ ওঠা প্রকোপ, ওষুধ সংকট
ভোলার মনপুরায় ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে জ্বর ও চোখের অসুখ। এমন কোন ঘর নেই যেখানে পরিবারের কোন না কোন সদস্য জ্বরের সঙ্গে চোখ ওঠা রোগে ভুগছেন। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ছোঁয়াচে এই সংক্রমণ। এতে হাসপাতাল ও বাহিরে ফার্মেসিসহ সর্বত্রই দেখা দিয়েছে চোখের ওষুধের সংকট।
এদিকে এই সংকটকে পুঁজি করে এক শ্রেণির ওষুধ ব্যবসায়ী দ্বিগুণ দামে চোখের ড্রপ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ আক্রান্ত রোগিসহ স্বজনরা।
রবিবার ও সোমবার প্রাইভেট ডায়গনস্টিকে চিকৎসা নিতে যান বৃদ্ধা ফাতেমা বেগম, মনোয়ারা বেগম, হাসান, শিশু সবুজের অভিভাবক কালামসহ অর্ধশতাধিক রোগী। তাদের অভিযোগ, ডাক্তাররা চোখের জন্য যেই ড্রপই দেয়, সেই ড্রপ ফার্মেসিতে গেলে পাওয়া যায় না। ফার্মেসির লোকেরা বলে ওষুধ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু টাকা বেশি দিলে তারা ড্রপ বের করে দেয়।
এদিকে সোমবার বনবিভাগের বিট কর্মকর্তা মো. আব্বাস অভিযোগ করেন জানান গত দুই দিন ধরে জ্বর ও চোখ ওঠা রোগে ভুগছেন তিনি। কিন্তু বাংলাবাজার, কোড়ালিয়া ও সিরাজগঞ্জ বাজার ফার্মেসীতে চোখ ওঠা রোগের ড্রপ খোঁজে পায়নি। পরে তিনি হাজিরহাট বাজারের এক ফার্মেসিতে থেকে দ্বিগুণ দামে কিনেছেন চোখের ড্রপ। একই অভিযোগ করেন উপজেলা যুবলীগের সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন হাসপাতালে শতাধিকের ওপরে জ্বরসহ চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নেয়। এছাড়াও প্রতিনিয়ত হাসপাতালের বাহিরে গড়ে অর্ধশতাধিকের ওপরে রোগী চিকিৎসা সেবা নেয়। এতে করে হাসপাতালে চোখের ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছে। এভাবে রোগী আসলে সোমবারে চোখের ড্রপ শেষ হয়ে যাবে বলে জানা যায়।
এই ব্যাপারে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশিকুর রহমান অনিক জানান হাসপাতালে প্রতিনিয়ত শতাধিকের ওপরে চোখ ওঠা রোগী চিকিৎসা নেয়। এতে হাসপাতালে ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। ফার্মেসিতে চোখের ড্রপ বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা এই কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে ওষুধ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।