খুলনা ব্যুরো

  ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

খুলনা মহানগরীতে দুর্গাপূজা শুরু শনিবার

ফাইল ছবি

পরপর দুবছর ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা মহামারির কারণে উৎসমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হয়নি। এবার ম-পগুলোতে সাজসাজ রব। প্রতিমার গায়ে রং, তুলি টানার কাজ শেষ। মণ্ডপে ঢাক বেজেছে। চারদিকে ব্যাপক আয়োজন। খুলনা জেলায় ১ হাজার ২৫টি মণ্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি শেষ। শনিবার উৎসবের ষষ্ঠী, বুধবার বিজয়া দশমী।

হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাস মতে, দুর্গা দেবীর এবারে আগমন গজে, আর গমন নৌকায়। কেএমপি সূত্র বলেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বড় মণ্ডপগুলোতে আটজন, মাঝারি মণ্ডপে ছয়জন এবং ছোট মণ্ডপে চারজন আনসার ও প্রয়োজনীয়সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। র‌্যাবও টহল দেবে। নগরীর প্রধান প্রধান পূজামণ্ডপে রয়েছে আর্য্য ধর্মসভা, শীতলাবাড়ী, দোলখোলা সার্বজনীন, টুটপাড়া গাছতলা, প্লাটিনাম, ক্রিসেন্ট, শিববাড়ী, পৈপাড়া, সরকারি বিএল কলেজ, পাবলা বণিকপাড়া ও মহেশ্বরপাশা।

দিন-রাত সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে খুলনাঞ্চলে তিনটি নতুন ট্রান্সফর্মার বরাদ্দ করা হয়েছে। ওজোপাডিকোর নিয়ন্ত্রণে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মণ্ডপগুলোতে দিবালোকের মতো করতে ওজোপাডিকো এ উদ্যোগ নিয়েছে। খুলনা নগরী, ফুলতলা, বাগেরহাট ও মোংলায় পূজাম-পগুলোর জন্য এ ট্রান্সফর্মার বরাদ্দ হয়েছে।

চলমান বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর পূজা কমিটি মণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি তোলে। পূজা কমিটি যুক্তি উপস্থাপন করে গত বছর শারদীয় দুর্গোৎসবে রূপসা মহাশ্মশানঘাট কালিবাড়ীতে ১৮টি তাজা বোমা উদ্ধার করার মধ্য দিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

নগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্যামল হালদার জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা চালু রাখতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন। পূজা কমিটির অন্য কর্মকর্তারা তথ্য দিয়েছেন। সাহেবের কবরখানা পূজামণ্ডপ, পঞ্চবীথি পূজামণ্ডপ, কেশবচন্দ্র সংস্কৃত কলেজ পূজা মন্দিরে ইতোমধ্যেই আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

ওজোপাডিকোর খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহিনা আক্তার জানান, মণ্ডপগুলোতে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত অন্ধকারমুক্ত করতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে তিনটি ট্রান্সফর্মার বরাদ্দ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কোনো ধরনের ট্রান্সফর্মার নষ্ট হলে তা সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন করা হবে। শুধু খুলনা মহানগরীতে বুধবার ১৪৪ মে. ওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা ছিল। সরবরাহ হয়েছে ১২৪ মে. ওয়াট। ২০ মে. ওয়াট লোডশেডিং ছিল।

পূজা উদযাপন পরিষদের সূত্র জানায়, খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলায় ৩৪টি, খুলনা নগরীর ১২৫, বাগেরহাট ও মোংলায় ৬৩৩টি ম-পে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পূজা,খুলনা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close