ফরিদপুর প্রতিনিধি

  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ফরিদপুরে শিক্ষা অফিসের পেছনের জঙ্গলে পাঠ্যপুস্তক 

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভবনের পেছনে জঙ্গলে মিলেছে সরকারি পাঠ্যপুস্তকের বান্ডিল। শিক্ষাবর্ষ প্রায় শেষ হতে চললেও বিতরণ করা হয়নি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবির) বই। ফলে শিক্ষা অফিসের বইগুলোতে উইপোকা ধরেছে। আর শেষ পর্যন্ত এসব বইয়ের ঠাঁই হয়েছে ঝোপঝাড়-জঙ্গলে। তবে জঙ্গলে ওই ফেলে দেওয়া বইয়ের দায় নিতে চাচ্ছে না কেউ। কর্মকর্তারা পিয়ন দফতরির ওপর দোষ চাপিয়ে পার পেতে চাচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরকান্দা উপজেলা শিক্ষা অফিসের ভবনের পেছনে ঝোপঝাড়-জঙ্গলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবির) প্রাথমিক পর্যায়ের বেশ কিছু বইয়ের বান্ডিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা সেখানে যান এবং ছবি তুলেন। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে বইগুলো ঝোপঝাড় হতে তুলে বস্তায় ভরে আবার শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের গোডাউনে নিয়ে রাখা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরকান্দা উপজেলার ৮৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ২২ হাজার ২৯১ জন শিক্ষার্থীর তালিকা অনুযায়ী এ বছর এনসিটিবির বই বিতরণের জন্য দেওয়া হয়। তবে প্রকৃত শিক্ষার্থীদের চেয়ে এই তালিকা বেশি হওয়ায় ২০৬১টি বই অবিতরণকৃত থেকে যায়। এসব বই এত দিন গোডাউনে রাখা ছিল। সেই সঙ্গে গোডাউনে এক বস্তা মাক্সও রয়েছে। এদিকে, দীর্ঘদিন গোডাউনে ফেলে রাখা বইগুলো অযতেœ অবহেলায় ফেলে রাখার কারণে বেশিরভাগই উইপোকায় নষ্ট করে ফেলেছে। গোডাউনের এসব বই উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রূপা আক্তারের দায়িত্ব ছিল।

দফতরি শামীম বলেন, বইগুলো উইপোকা ধরেছে। তাই বের করে উইপোকা ঝেড়েছি। পরে আবার রেখে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রূপা আক্তার বলেন, আমি এসএসসি পরীক্ষার ডিউটিতে আছি। এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী রাশেদ মামুন বলেন, জানতে পেরেছি শামীম নামে একজন দফতরি এসব বই বের করেছে। তবে সে আমাকে জানিয়েছে বইগুলো সে বের করেনি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ফরিদপুর,পাঠ্যপুস্তক
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close