সাজাদুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম)
নদী ভাঙনে নিঃস্ব, জমি কিনতে গিয়ে শিকার প্রতারণার
কুড়িগ্রামের উলিপুরে সাড়ে চার লাখ টাকা দিয়ে জমি কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন নদী ভাঙনকবলিত দুটি পরিবার। দীর্ঘদিনেও জমি রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে উল্টো নানা হুমকি-ধামকি দিচ্ছে প্রভাবশালীরা। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ওই অসহায় পরিবার দুটি। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিক শালিস বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এতেও কোনো কাজ না হওয়ায় অনেকটা হতাশায় পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাশিয়াগাড়ী গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে মমিনুল ইসলামের কাছ থেকে ২০১৬ সালে খতিয়ান নম্বর ৫০২ ও ২৪৮ নম্বর দাগের ২৮ শতক জমি ক্রয় করেন ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের শিকার অসহায় জাহিদুর রহমান ও আলতাফ হোসেন। মমিনুল ইসলাম স্থানীয় স্বাক্ষীদের উপস্থিতে সমুদয় টাকা পরিশোধ করে নেন এবং কবলা দলিল করে দেবেন বলে স্ট্যাম্পে লিখে দেন। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছরেও তিনি জমির দলিল না করে দিয়ে তালবাহানা করে আসছেন এবং বিভিন্নভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। এ ছাড়া ইতিমধ্যে স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ১০-১২টি মিটিং করে সময় নিয়ে কালক্ষেপণ করছেন। তার চার মেয়ে ও জামাতা এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং নারীসংক্রান্ত মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাবেন বলে হুমকিও দিচ্ছে। এমতাবস্থায় অসহায় ওই পরিবার দুটি আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করছেন।
জমি বিক্রেতা মমিনুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে উক্ত জমিটি বিক্রয় করার কথা স্বীকার করলেও জমি রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি তিনি।
ধামশ্রেণী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে সমস্যাটির সমাধান করতে পারিনি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, এ নিয়ে অনেকদিন থেকে ঝামেলা চলতেছে, কিন্তু বিষয়টি ফয়সালার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।